রাজধানীর বাটা সিগন্যাল এলাকার শেলটেক কম্পিউটার সিটি ভবনের পঞ্চম তলায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ০৩ মার্চ, ২০২৩ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাটা সিগন্যাল এলাকার শেলটেক কম্পিউটার সিটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এতে ভবনের পঞ্চম তলার তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেটর) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় আগুন লেগেছিল। আগুন অন্য কোনো তলায় ছড়াতে পারেনি। তার আগেই নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। এতে তিনটি কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দোকান ব্যাপকভাবে পুড়ে গেছে।

এ ঘটনায় একজন সামান্য আহত হয়েছেন জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, অন্য কারও দগ্ধ বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বাটা সিগন্যাল মোড় থেকে শাহবাগের দিকে কিছুটা এগোলে হাতের ডান দিকেই রাস্তার পাশে নয়তলা শেলটেক কম্পিউটার সিটি ভবন। এর পাঁচতলা পর্যন্ত দোকান। তার ওপরের তলাগুলো আবাসিক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর পাঁচতলা থেকে নিচের তলার লোকজন দ্রুত নেমে আসেন। আর ওপরের তলাগুলোর বাসিন্দারা ছাদে চলে যান।

সিরাজুল ইসলাম নামের ভবনের নিচতলার একটি দোকানের কর্মী জানান, ইফতারের পরপর তাঁরা পোড়া গন্ধ পান। তখন চার–পাঁচজন মিলে নিচতলা থেকে আগুনের উৎস খুঁজতে খুঁজতে ওপরের দিকে ওঠেন। পাঁচতলায় গিয়ে দেখেন একটি দোকান দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন তাঁরা নিচে নেমে আসেন। একজন বৃদ্ধ লোককে পেয়ে নিরাপদে তাঁকে নামিয়ে আনেন।

ওই ভবনের দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, পাঁচতলায় একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে আগুন লেগেছিল। পরে তা পাশের কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

ভবনে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, সেখানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছিল। সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রমাণ পেয়েছেন। তবে অন্যান্য ব্যবস্থা ছিল কি না, তা এ মুহূর্তে বলতে পারছেন না।

ভবনের জরুরি নির্গমণ পথ কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি পর্যাপ্ত ছিল না বলে তাঁদের মনে হয়েছে।