ঈশ্বরদীর পাকশীতে পদ্মা নদীর ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজের খুব কাছাকাছি স্থানে নদী দখল করে পাহাড়সম বালু স্তূপ করে রাখার কারণে পদ্মার এই ভরা মৌসুমে নদীর গতিপথই পরিবর্তন হয়ে গেছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে পাবনা ঈশ্বরদীর পাকশী চ্যানেল পর্যন্ত পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে হাজার হাজার বাল্কহেড বা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ওইসব এলাকার বালুমহালকে দেওয়া লিজ বাতিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জনস্বার্থে করা এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বুধবার রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাবিব-উন নবী ও অ্যাডভোকেট মো. আশিকুর রহমান।

আইনজীবী হাবিব-উন নবী জানান, বিআইডব্লিউটিএর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ টু পাকশী চ্যানেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ১৫টি সেগমেন্টে খননের বিপরীতে শতাধিক বাল্কহেড বা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে চ্যানেলটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়েছে।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন আইনজীবী। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- ফরিদ হাসান মাহদী, মো. রাশেদুজ্জামান রানা, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, মুরাদ মিয়া ও কাজী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।