সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সজিব উদ্দিন। সোমবার রাতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় এক গৃহবধুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় বিচার চেয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন ওই গৃহবধূর ছেলে কলেজ ছাত্র সজিব উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সজিব উদ্দিন অভিযোগ করেন, ঈশ্বরদী শহরের পিয়ারপুরে তাদের বসত বাড়ির সামনে সড়কের একখণ্ড পরিত্যক্ত জমিতে পরিবারের পক্ষ থেকে সবজি চাষ করতো। কিন্তু সেই জমি দখল করে ঘর নির্মাণের জন্য কাউন্সিলের লোকজন চেষ্টা করছিলেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ২৪ মার্চ দুপুর তিনটার দিকে লাঠিসোটাসহ ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বেশকিছু লোকজন সঙ্গে নিয়ে মানবতা স্পোর্টিং ক্লাব নামে সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জায়গাটি দখল করে নেয়। এই সময় তার মা রোজিনা খাতুন জায়গা দখলের প্রতিবাদ করলে তাকে (মা) অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধোর করেন। ঘর থেকে মায়ের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে তাকেও চর, থাপ্পর, কিল ঘুষি মেরে ও হুমকিধামকি দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় পর তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনা খাতুন। সোমবার রাতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সজিব বলেন, ঘটনার পরপরপরই আমার মা কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজনের নামে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সজিব আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন, "আমার সামনে মাকে মারার দৃশ্য আমি ভুলতে পারছিনা। সন্তান হিসেবে মায়ের এ অপমান আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।"
অভিযোগ সম্পর্কে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি তো জায়গা দখলের জন্য সেখানে যাইনি। ক্লাবের জায়গা দেখার জন্য সেখানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলাম। ওই জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে একটি ক্লাব ছিল। সেই ক্লাব সদস্যদের অনুরোধই আমি সেখানে যাই। কিন্তু কাউকে মারধর বা গালি দেওয়া হয়নি। তিনি দাবি করেন, একটি পক্ষ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।