ঈশ্বরদীতে পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: দেশে দিন দিন আখ চাষ কমছে। এক বছরের ব্যবধানে ৪২ শতাংশ জমিতে আখের আবাদ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সাঈদা খাতুন।

সোমবার দিনব্যাপী বিএসআরআই মিলনায়তনে 'জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশীজনের অংশগ্রহনে ইক্ষুজাতের প্রধান প্রধান ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে আধুনিক কলাকৌশল’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই তথ্য জানান।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এই প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. ওমর আলী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড.  ওমর আলী। তিনি বলেন, চিনিশিল্পের উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আখের ৪৮টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ জাত বিএসআরআই- ৪৮। এ জাতটির সর্বোচ্চ চিনি ধারণের ক্ষমতা শতকরা ১৫ ভাগের বেশি। এই জাত সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হলে চিনিশিল্পে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিচালক (টিওটি) ইসমাৎ আরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ ও নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. আতাউর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, সহসভাপতি মাহাবুবুল হক দুদু, বিএসআরআইয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সাঈদা খাতুন, উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম রেজাউল করিম, ওসাকার পরিচালক মাজহার হোসেন প্রমুখ।

কর্মশালায় কৃষি অর্থনীতি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আখ চাষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, '১০-১৫ বছরের ব্যবধানে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ কমেছে। ২১-২২ অর্থ বছরে মিলজোন এলাকায় ২০ হাজার হেক্টর ও নন মিল জোন এলাকায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। অথচ ২০-২১ অর্থবছরে মিল জোন এলাকায় আখের আবাদ হয় ৫২ হাজার হেক্টর জমি ও নন মিল জোন এলাকায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি বছরই আখের আবাদ কমছে।'

কর্মশালায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের একাংশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন