রূপপুর প্রকল্পটিতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর অবকাঠামোর বহিঃসুরক্ষা দেয়ালের ডোম অংশের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের দেড় মাস (৪৫ দিন) আগেই ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকল্পের রুশ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট।
আজ রোববার দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রিয়্যাক্টর অবকাঠামোর বহিঃসুরক্ষা দেয়ালের কংক্রিট ঢালাই শেষ করার জন্য ১৫৫ দিন সময় নির্ধারিত ছিল। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটি ১১০ দিনেই শেষ করেছে। এটি শেষ করার নির্ধারিত সময় ছিল আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডোম অংশের ঢালাইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে ১ হাজার ৩৮৩ ঘনফুট কংক্রিট। এ কাজে ৪৪ জন বাংলাদেশিসহ ৬৫ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। বহিঃসুরক্ষা দেয়ালটির ঢালাই নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হওয়ার ফলে স্বয়ংক্রিয় তাপ অপসারণ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত ডিফ্লেকটরের অভ্যন্তরীণ ও বহির্ভাগের স্টিল কাঠামো স্থাপনের কাজও সময়ের আগেই শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এই জটিল প্রক্রিয়াটি দুই ধাপে সম্পন্ন হয়।
প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর অবকাঠামোর বহিঃসুরক্ষা দেয়ালের ডোম অংশের কংক্রিট ঢালাই শেষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টের (এএসই) ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি দেইরি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ডিফ্লেকটর স্থাপনের মধ্য দিয়ে হিট এক্সচেঞ্জার, হিট এক্সচেঞ্জিং মডিউল কেসিং এবং স্বয়ংক্রিয় তাপ অপসারণ ব্যবস্থার এয়ারডাক্ট স্থাপন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট রাশিয়ার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের প্রতিষ্ঠান। রূপপুর প্রকল্পটিতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে। এখান থেকে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
রাশিয়ার দাবি, ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থ্রি–প্লাস প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। পাকশীর পদ্মানদীর পাড়ে রূপপুর গ্রামে প্রকল্পটি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ এগিয়ে চলছে।