ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান | ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার বা আইনি মামলা এড়ানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান।

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারত্ব’ শীর্ষক আলোচনায় এ পরামর্শ দেন ব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী।

ট্রিভেলিয়ান বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরি করতে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এটি করা গেলে সংবিধানের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।

একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করছি, নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের অঙ্গীকার রাখবে।’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনেই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে ট্রিভেলিয়ান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে, নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া। এ ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে অব্যাহত সহযোগিতা করে যাওয়ার আশ্বাস দেন দেশটির প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশের কৌশল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিকে কোনো সামরিক জোটের সঙ্গে নেই। বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক তথা অর্থনৈতিক আইপিসে থাকার বিষয়ে নীতিগতভাবে অটল সিদ্ধান্তে রয়েছে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন দেশটির ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

চুক্তি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এ চুক্তির মাধ্যমে কপ-২৬ ও কপ-২৭–এ যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের অনেক দিনের দাবি লস অ্যান্ড ডেমেজে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কাজ করবে।’