সম্রাট খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সীমা খাতুনকে আদালতে তোলা হয়। রোববার দুপুরে পাবনা জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মাপাড়ে বিলাসবহুল গাড়ির ভেতর থেকে সম্রাট খান (২৯) নামের এক গাড়িচালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার সীমা খাতুনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে তাঁকে জেলা আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. শামসুজ্জামান দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেলা পৌনে দুইটার দিকে একটি জিপ গাড়িতে করে সীমা খাতুনকে আদালতে আনা হয়। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদ ইসলাম সীমাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিকেলে শুনানি হয়।
এসআই তৌহিদ ইসলাম রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নারী একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছিলেন। তাই অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। দুই দিন তাঁকে থানাহাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিহত গাড়িচালক সম্রাট খান ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্য অরনকোলা এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়োজিত একটি বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভাড়াচালিত প্রাডো গাড়ির চালক ছিলেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে পদ্মাপাড়ে গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এদিন দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
লাশ উদ্ধারের আগেই সন্দেভাজন ঘাতক হিসেবে শনাক্ত হন আবদুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী সীমা খাতুন। গাড়িটির খোঁজ করতে গিয়েই তাঁদের শনাক্ত করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সীমা খাতুন সম্রাটকে খুনের কথা স্বীকার করেন। জানান, খুনের পর তাঁরা সম্রাটের লাশ গুমের জন্য গাড়িতে ঘুড়ে বেড়ান। সীমার স্বামী মমিনও গাড়িচালক।
এ ঘটনায় সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বাদী হয়ে আবদুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী সীমা
খাতুনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও তিন–চারজনকে আসামি করে মামলা
করেছেন। মামলায় সীমা খাতুনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।