নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা দেখতে যান চার দেশের রাষ্ট্রদূতসহ উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। শুক্রবার দুপুরে ভাসানচরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে গেছেন জাপান, চীন, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ ১৬ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে তাঁরা ভাসানচরে পৌঁছান।
একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলও ভাসানচর পৌঁছান। বিকেল চারটায় তাঁরা ভাসানচর থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা দেখতে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কর্মকর্তা সিমোন পার্চমেন্ট হেলিকপ্টারে ভাসানচর পৌঁছান।
একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সালাহউদ্দিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মো. কায়ছারুল ইসলাম, পরিচালক-৯ মোহাম্মদ নাজমুল হক, পরিচালক-১৪ মোহাম্মদ মহিবুল হাসান।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজিমুল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ভাসানচরে চার রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধিদের নিয়ে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমান। সভায় রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলাপ–আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন ক্লাস্টার পরিদর্শন করেন। তাঁরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন। পরিদর্শন শেষে বিকেলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যান।