প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি ধুনট: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় থানায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ করার পর প্রতিপক্ষের হাতে আবার মারধরের শিকার হয়েছেন আবু সালাম নামের এক ব্যবসায়ী। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার আবু সালাম উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আজ সকালে চিকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেপ বাদশা ও তাঁর ছেলে খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। খোকন মিয়া উপজেলা পরিষদের গোপন সহকারী (সিএ)। পরে দুপুরে খোকন মিয়া পরিষদের সামনে আবু সালামকে মারধর করেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিকাশি গ্রামের বাসিন্দা আলেপ বাদশার সঙ্গে আবু সালামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে চিকাশি এলাকার মফিজ মোড়ে আলেপ বাদশার পক্ষের রাকিব ও জিহাদ ব্যবসায়ী আবু সালামের লোকজনকে গালিগালাজ করেন। এ সময় আবু সালামের লোকজন প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আলেপ বাদশা ও তাঁর সহযোগীরা সালামের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে সালামের পক্ষের সাকিবুল, নুরে আলম, পায়েল ও সুমন নামের চারজন আহত হন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় আবু সালাম বাদী হয়ে আজ সকালের দিকে আলেপ বাদশা, তাঁর ছেলে খোকন মিয়াসহ সাতজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। দুপুর ১২টার দিকে আবু সালাম উপজেলা পরিষদে ব্যক্তিগত কাজের জন্য যান। এ সময় খোকন মিয়া তাঁর কার্যালয় থেকে লাঠি বের করে আবু সালামকে পিটিয়ে আহত করেন। আবু সালামের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে খোকন মিয়া বলেন, ‘থানায় অভিযোগ করে আবু সালাম কার্যালয়ের সামনে এসে আমাকে গালিগালাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে মারধরের অভিযোগ সঠিক না।’
আলেপ বাদশা বলেন, ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি দলীয়ভাবে মীমাংসার প্রস্তুতি চলছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ছেলে বিরুদ্ধে আবু সালামের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।