প্রয়োজনের তাগিদে রিকশাচালক হয়ে উঠেছেন ফটোগ্রাফার। তিনি হয়তো ফ্রেম, আলো বোঝেন না। তবে, এখানে তিনিই হয়ে উঠেছেন অনন্য এক আলোকচিত্রী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিশেষ প্রতিনিধি: এই ছবিটার ভেতর কিংবা বাইরের গল্প কোনোটাই আমরা জানি না। অনুমান করতে পারি। ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে- দুজন নারী বসন্তকে বরণ করতে শাড়ি পরে বেরিয়েছেন। হয়তো এই ছবিটা তোলার আগে বা পরে তাদের সঙ্গে তাদের বন্ধুরা থাকতে পারেন। অথবা না-ও পারেন।
সমস্ত সম্ভাবনা রেখে এই ছবিটার বাইরের গল্পটা দাঁড় করাতে চাইলে হতে পারে- দুই বান্ধবী মনে করেছেন, বসন্তকে বরণ করতে হবে। তারা বসন্তের রঙ হলুদ শাড়ি পরে বেরিয়ে ফুলের দোকানে ফুল কিনতে গেছেন। এ সময় তাদের মনে হয়েছে এই দৃশ্যটাকে ধারণ করে রাখা দরকার। কিন্তু তৎক্ষণাৎ ছবি তুলে দেওয়ার মতো পাশে কেউ নেই। তখন তাদের বহনকারী রিকশার চালকই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
ওই মুহূর্তে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে বলা সম্ভব, “একটা ছবি তুলে দেবেন?”
১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার এই দৃশ্যটা হয়তো বসন্ত, ভালোবাসা দিবস আর ফুলের দোকানের কারণে ধারণ করা সম্ভব হয়েছে। ফুল মানুষের সৌন্দর্যকে যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি মনকে করে আরও পরিশুদ্ধ। ফলত প্রয়োজনে অপরিচিত রিকশাচালককে ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে শঙ্কাবোধ করেননি ওই দুই নারী।
প্রয়োজনের তাগিদে রিকশাচালক হয়ে উঠেছেন ফটোগ্রাফার। তিনি হয়তো ফ্রেম কিংবা আলো বোঝেন না। তবে, মানুষ হিসেবে তারও বসন্ত বোঝার মন রয়েছে, সুন্দরকে দেখার চোখ রয়েছে। সেই চোখেই, সেই বোঝাপোড়াতেই তিনি হয়ে উঠেছেন অনন্য এক আলোকচিত্রী।
আগেই বলেছি, এই দৃশ্যের ভেতরের গল্প আমরা জানি না। কিন্তু বাইরের যে গল্প আমাদের চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটিই মূলত বসন্ত বা ভালোবাসা দিবস বা ফাল্গুন। বসন্ত আসুক এমন স্নিগ্ধ সমারোহে।
শাহবাগ এলাকা থেকে ছবির গল্প ক্যামেরাবন্দি করেছেন।