বন্ধুত্ব | প্রতীকী ছবি |
ধর্ম ডেস্ক: বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্ব থেকে উদ্ধার করে, জীবনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে। যে বিপদ–আপদে হাত বাড়ায়, ভুলত্রুটি সংশোধন করে দেয়, সেই তো প্রকৃত বন্ধু। আমাদের জীবনে চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন। মানুষের বিকাশের জন্য প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধুর সংস্পর্শ। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও জীবনাচরণ আমাদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এ জন্য বন্ধু নির্বাচন করাটা খুব জরুরি। এ ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
বন্ধুত্ব তাঁর সঙ্গে করতে হবে, যাঁর আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, বিশ্বাসী নরনারী একে অপরের বন্ধু, এরা সৎকর্মের নির্দেশ দেয় ও অসৎ কর্মের নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে; এদেরই আল্লাহ দয়া করবেন আর আল্লাহ তো শক্তিমান তত্ত্বজ্ঞানী। (সুরা তাওবা, আয়াত: ৭১)
পুণ্যবান, চরিত্রবান, জ্ঞানী ও বিচক্ষণ বন্ধু বেছে নেওয়ার জন্য মনীষীরাও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁরা আবার কয়েক ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধও করেছেন—যাঁরা মিথ্যাবাদী, কৃপণ, পাপী, বোকা ও স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করেন।
পরকালের কল্যাণের জন্য এই দুনিয়ায় শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ইমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশনা এ রকম, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং বিশ্বাসীরা যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় ও বিনত হয়।’ (সুরা: মায়িদা, আয়াত: ৫৫)
আপনি যাঁর সঙ্গে চলছেন, সেই বন্ধু ভালো না খারাপ, তা আপনি নির্ণয় করতে পারবেন। কারও সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে তিনি আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে, যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধুকে ত্যাগ করতে হবে। কাজেই জীবনে চলার পথে ভালো বন্ধু খুঁজে বের করা জরুরি।
আমাদের বন্ধুত্বের অন্যতম উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি। যাঁরা চরিত্রবান ও দয়াবান, ধর্মীয় সদাচারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন, সারাক্ষণ দোষারোপ না করে সংশোধনের পথ বলে দেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন।