রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মাঠের পাশের সড়কেও উপচে পড়ছে মানুষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। শুরুতে বক্তব্য দিচ্ছেন রাজশাহী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতারা। এরই মধ্যে জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দুপুরের পর জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

মাদ্রাসা মাঠে (বর্তমান হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) আজ রোববার দুপুর ১২টায় জনসভার শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর দলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল। তিনি বলেন, এবার তাঁরা কিছু চাইবেন না। তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানাবেন।

জনসভা সফল করতে আজ রোববার সকাল থেকে রাজশাহীতে আসা শুরু করেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। স্থানীয় নেতাদের দেওয়া নানা রঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে তাঁরা জনসভা মাঠে ঢোকেন। বেলা ১১টার মধ্যে মাঠ ভরে যায়। নেতা-কর্মীরা বাস, ট্রেন, ট্রাক, লেগুনা, মোটরসাইকেলসহ নানাভাবে আসছেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে এসেছিলেন। সেদিনও এই মাঠে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন। সেবার ২২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি ১ হাজার ৩১৬ কোটি ৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোট ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে ২৫টির কাজ শেষ হয়েছে। আর ৬টির কাজ চলমান।

রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই জনসভার আয়োজন করেছে। জনসভা পরিচালনা করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনের পর প্রথম জনসভা হচ্ছে রাজশাহীতে। এর আগে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, যশোরে জনসভা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় নেতারা। গত কয়েক দিনে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যে এর আভাস পাওয়া গেছে।

পুঠিয়া থেকে আসা আওয়ামী লীগ সমর্থক গোলাম রাব্বানী (৫০) বলেন, তিনি নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য এসেছেন। সামনে নেত্রী কী ঘোষণা দেন, সেটা তিনি শুনবেন।

তানোর থেকে আসা সাব্বির হোসেন (২৬) ছাত্রলীগের সমর্থক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কীভাবে গড়া হবে, সে বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। তাঁরা শুনবেন।