ব্রাজিলকে প্রথম গোলটি এনে দেন করিন্থিয়ান্স মিডফিল্ডার গিয়ের্মে বিরো | ছবি: এএফপি |
খেলা ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে তেমন হইচই নেই। কঁচি–কাঁচাদের টুর্নামেন্ট বলে সম্ভবত সেভাবে নজর কাড়ে না। কিন্তু হাভিয়ের মাচেরানো থেকে হালের দারউইন নুনিয়েজ, রদ্রিগো, হুলিয়ান আলভারেজরা এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ওপরে ওঠার সিড়িতে পা রেখেছেন। চাইলে এডিনসন কাভানি কিংবা লিওনেল মেসির নামটাও জুড়ে দেওয়া যায়।
২০০৫ সালে মেসি, জাবালেতা, লাভেজ্জিরা এ টুর্নামেন্ট দিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবলে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন। ২০০৭ সালে নজর কাড়েন উরুগুয়ের জার্সিতে নামা কাভানি। আর ব্রাজিলের অনেক কিংবদন্তি মহাদেশীয় এই অনূর্ধ্ব–২০ টুর্নামেন্টের ফসল। নামগুলো একবার দেখুন—রোমারিও, রিভালদো, রোনালদিনিও, রবার্তো কার্লোস, কাকা, মার্সেলো, নেইমার...। হুট করে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপ টেনে আনার কি কারণ, কলম্বিয়ায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।
এবার একই গ্রুপে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আজ বাংলাদেশ সময় সকালে কলম্বিয়ার কালিতে এ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি মুখোমুখি হয়েছিল। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিছুদিন আগে কাতারে বিশ্বকাপ জিতলেও যুবারা কিন্তু ব্রাজিল অনূর্ধ্ব–২০ দলের বিপক্ষে হালে পানি পায়নি। প্রথমার্ধে দুই গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল হজম করে ব্রাজিলের কাছে ৩–১ ব্যবধানে হেরেছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দল।
২ ম্যাচের দুটিতেই জিতে ‘এ’ গ্রুপের দুইয়ে উঠল ব্রাজিল (২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)। ২ ম্যাচ খেলে জয়শূন্য আর্জেন্টিনা চারে (০ পয়েন্ট)। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে প্যারাগুয়ে।
এবারের টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার যুবাদের কোচের দায়িত্বে আছেন মাচেরানো। আর্জেন্টিনার সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের দল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২–১ গোলে হেরেছিল। চূড়ান্তপর্বে যেতে মাচেরানোর দলকে এখন পেরু ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হবে।
ব্রাজিলকে ম্যাচের ৮ মিনিটে গোল এনে দেন করিন্থিয়ান্স মিডফিল্ডার গিয়ের্মে বিরো। থ্রো থেকে বক্সে জটলার ভেতর দাঁড়িয়ে বাঁ পায়ের সাইডভলিতে গোল করেন বিরো। ম্যাচের ২৭ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জিনো ইনফান্তিনোর স্পটকিক রুখে দেন ব্রাজিলের গোলকিপার মাইকায়েল। এরপর ৩৬ মিনিটে একক নৈপূণ্যে গোল করেন জানুয়ারির শুরুর দিকে চেলসিতে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোস।
প্রায় মাঝমাঠে বল পেয়ে দারুণ এক মুভে জালে জড়ান সান্তোস। নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার লাউতারো দি লোলো ফাউল করেন ব্রাজিলের ভিক্টর রকিকে। স্পটকিক থেকে গোল করে ব্রাজিলের এগিয়ে যাওয়ার ব্যবধান ৩–০ করেন রকি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে গোলটি ডেভিড গঞ্জালেসের।