ঈশ্বরদী থানার প্রধান ফটক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের দুই নেতার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্যের ছেলে তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাসের নাম এজাহারে থাকায় মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান বলেন, থানায় দেওয়া তাঁর অভিযোগে কিছু নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা নামগুলো বাদ দিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় উল্লেখ করে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আকার-ইঙ্গিতে 'মামলা করে লাভ হবে না' বলে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মালিথা বলেন, ঘটনার সাত দিন পার হলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরদী থানায় এজাহার জমা দেন। এখনও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান ও মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মালিথা থানায় পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ আমলে নিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই মামলায় রূপ পাবে। পরবর্তী সময়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিপুত্র দোলন বিশ্বাসের নাম থাকায় অভিযোগটি মামলায় রূপ নিচ্ছে না- এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, অভিযুক্তের পরিচয় বড় ফ্যাক্টর নয়। ঘটনার সত্যতা নিরুপণ জরুরি। আসামি যে কেউ হতে পারে এবং তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজন করা হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সমবেত হন নেতাকর্মীরা। তখন মারুফ হাসান ও বাপ্পি মালিথার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়। এ দুই ছাত্রলীগ নেতার দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে দোলন বিশ্বাস, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেক মালিথার ছেলে মিজান মালিথাসহ আরও কয়েকজন হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
এ বিষয়ে তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস বলেন, তিনি ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ করলেই সব দোষ তাঁর হয়ে যায় না। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক তিনি জড়িত কিনা।