সংসদ সদস্য শওকতের নামে অভিযোগ, দুদককে নিষ্পত্তির নির্দেশ

শওকত হাচানুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনা-২ আসনের (পাথরঘাটা-বেতাগী-বামনা) সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের অনুকূলে টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

এর আগে ‘কাজ না করেই কোটি টাকার টিআরের বরাদ্দ লোপাটের অভিযোগ’ শিরোনামে গেল বছরের ৯ মে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ২৭ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি আবেদন দেন মো. সুলতান আহম্মেদ নামে পাথারঘাটার এক বাসিন্দা। এতে সুলতান অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনগণের প্রতিনিধি তাঁদের উন্নয়নের টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।  

দুদকে আবেদন করে ফল না পেয়ে হাইকোর্টে ওই রিটটি করেন মো. সুলতান আহম্মেদ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

সুলতানের করা আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে দুদককে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার টিআর প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ করা অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে শওকত হাচানুর রহমান, বরগুনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনা উপজেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান, দুদকসচিব, দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান), দুদক কমিশনার (তদন্ত), বরগুনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ছয় বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।