দেশটির জাতীয় রঙের পোশাক পরে এবং গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে তাঁরা এ হামলায় অংশ নেন | ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকেরা। তবে তাঁদের হটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসব সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০০ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিবিসির

গতকাল রোববার জইর বলসোনারোর হাজারো ডানপন্থী সমর্থক ব্রাসিলিয়ায় কংগ্রেস ভবনে হামলা চালান। দেশটির জাতীয় রঙের পোশাক পরে এবং গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে তাঁরা এ হামলায় অংশ নেন। হামলাকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পুলিশ তাঁদের ঠেকাতে পারেনি।

অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে চালানো তাণ্ডবের আদলে এ হামলা চালানো হয়। কিছু বিক্ষোভকারী ফাঁকা সিনেট অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েন। অন্যরা প্রেসিডেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য সরকারি ভবনে হামলা চালান।

নিরাপত্তা বাহিনী কংগ্রেস ভবনসহ সরকারি ভবনগুলো বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা ব্রাসিলিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনের কাছে অবস্থান করছেন বলে সিএনএন জানিয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী ভিও দিনো বলেছেন, রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় গুরুত্ব ভবনগুলোয় হামলা চালানো অন্তত ২০০ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বলসোনারোর সমর্থকদের হটিয়ে দিয়ে কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্ট ভবনের ভেতর ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসবাদ, এটা অভ্যুত্থান। আমরা নিশ্চিত যে জনগণের বিশাল একটি অংশই এই অন্ধকার (শাসন) বাস্তবায়িত হোক, তা চায় না।’ বিক্ষোভের সময় ওই অঞ্চলের বলসোনারোর মিত্রদের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত অক্টোবরের নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসেনারো। তবে তাঁর সমর্থকেরা এই পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন লুলা দা সিলভা।

বলসোনারো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আছেন। লুলার শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এ হামলায় তাঁর ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন। বলসোনারো এক টুইটে সহিংস এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন।