ডিজিটাল ওজন পরিমাপক যন্ত্রে ধাতব বস্তু দুটির ওজন ৭০ গ্রাম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি গাজীপুর: ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ কিনেছিলেন মো. হিরণ মিয়া। তবে বাড়িতে নিয়ে কাটার সময় মাছের পেটে পাওয়া গেছে প্রায় ৭০ গ্রাম ওজনের দুটি ভারী ধাতব বস্তু। রোববার সকালে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরে।

হিরণ মিয়া সদর ইউনিয়নের আবদুর রশিদের ছেলে। রোববার সকালে তিনি কাপাসিয়ার উপজেলা সদর কাঁচাবাজার থেকে মাছটি কিনেছিলেন। মাছটি বিক্রি করেছিলেন ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলার চরখামের গ্রামের বাসিন্দা অতীন্দ্র।

এ প্রসঙ্গে হিরণ মিয়া বলেন, মাছটি কাটার সময় তাঁর স্ত্রী মাছের পেটে একই ধরনের দুটি ধাতব বস্তু পেয়ে অবাক হয়ে যান। পরে ডিজিটাল ওজন পরিমাপক যন্ত্রে ধাতব বস্তু দুটির ওজন পেয়েছেন ৭০ গ্রাম। তিনি হিসাব কষে বলেন, ভারী দুটি বস্তুর ওজনের সমপরিমাণ মাছের মূল্য ৮২ টাকা। ভোক্তাকে ঠকানোর জন্যই কৌশলে মাছের পেটে ভারী ধাতব বস্তু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ঘটনার পর ধাতব বস্তু দুটি ও মাছটি নিয়ে আবার মাছ বিক্রেতার কাছে যান হিরণ মিয়া। এ সময় হিরণ মিয়াকে ৭০ টাকা ফেরত দেন মাছ বিক্রেতা অতীন্দ্র।  

অতীন্দ্র বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বিভিন্ন আড়ত থেকে তিনি মাছ কিনে এনে বিক্রি করেন। ইলিশ মাছগুলো তিনি গাজীপুরের একটি আড়ত থেকে পাইকারি দরে কিনে এনেছিলেন। এমন ঘটনা তিনি অতীতে দেখেননি বলে দাবি করেন।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, এমন হয়ে থাকলে তা ভোক্তা অধিকার আইনের চরম অন্যায় হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।