রোহান হোসেন | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে মারামারি করে বাড়ি ফেরার পরপরই এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ রোববার দুপুরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।

মৃত ওই ছাত্রের নাম রোহান হোসেন (১৫)। সে উপজেলার সাঁড়ার থানাপাড়া মহল্লার কৃষক মিজানুর রহমান মিন্নুর ছেলে ও মাঝদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ‘থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নতুন বছর’ উদযাপনের জন্য রোহান তার কয়েক বন্ধুদের নিয়ে থানাপাড়ার নদীর ধারে পিকনিকের আয়োজন করে। সেখানে তারা রাতে উচ্চস্বরে গান-নাচ ও বাজনা বাজিয়ে হৈহুল্লোর করছিলো। একপর্যায়ে বন্ধুদের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। মারামারির দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। এর কিছুসময় পর রোহান তার নিজ বাড়িতে ফিরেই ঘরের কাছে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মিজানুর রহমান মিন্নু বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে পৌঁছে ঘরের কোনো ‘মা মা’ করে ডাকছিলেন। বের হয়ে দেখি সে অনেকটাই অসুস্থ ও কয়েক বার বমি করছে। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা পথে মারা যায়। তিনি বলেন, “আমার ছেলেকে কেউ মেরে ফেলেছে কিনা সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামিম জানান, রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকতে পারে। এ বিষয় সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের কোথাও আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন নেই। নিহত কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।