প্রথমবার ওয়েব সিরিজে মিম

বিদ্যা সিনহা মিম |  ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন প্রতিবেদক: ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার সফলতার পর পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা জিতের সঙ্গে শুরু করেছেন ‘মানুষ’ সিনেমার কাজ। এর মধ্যেই জানা গেল প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন মিম। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এই সিরিজটি তৈরি হবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের জন্য। বানাবেন সানী সানোয়ার।

অভিনয় ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সময়টা ভালোই কাটছে বিদ্যা সিনহা মিমের। গত বছর মুক্তি পাওয়া তাঁর দুটি সিনেমাই দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার সফলতার পর পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা জিতের সঙ্গে শুরু করেছেন ‘মানুষ’ সিনেমার কাজ। এর মধ্যেই জানা গেল প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন মিম। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এই সিরিজটি তৈরি হবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের জন্য। বানাবেন সানী সানোয়ার।

নতুন এই ওয়েব সিরিজের বিষয়ে মিম বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করছি। ভালো গল্প, আর চরিত্রটাও দারুণ! অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলা আমার জন্য বারণ। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই জানানো হবে সব। তবে হইচই-এর গল্প বলার ধরন আমার ভালো লাগে। প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করলে ভালো কিছুই হবে মনে করছি।’

ওয়েব সিরিজটি নিয়ে নির্মাতা সানী সানোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিমকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের কথা স্বীকার করেন। তবে কাহিনি বা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে তিনিও অপারগতা জানান। সানি জানান, এই বিষয়ে হইচই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। জানা গেছে, ওয়েব সিরিজটিতে বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে দেখা যাবে এফ এস নাঈম ও সুমিত সেন গুপ্তকে।

নতুন বছর ও বিবাহবার্ষিকী উদ্‌যাপন করতে দুবাই গিয়েছিলেন মিম। সেখানে স্বামী সনি পোদ্দারের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। তাঁর ফেসবুক ঘুরে এলেই সেই আঁচ পাওয়া যায়।

দুবাই থেকে ফিরেই মিম ছুটে গেছেন কলকাতায়। অংশ নিয়েছেন ‘মানুষ’ সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে। মানুষ সিনেমাটি কলকাতার হলেও বানাচ্ছেন বাংলাদেশের সঞ্জয় সমাদ্দর। সিনেমাটি নিয়ে মিম বলেন, ‘এ সিনেমায় মন্দিরা নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করছি। এতে আমার সহশিল্পী জিৎ দাদা। বেশ কয়েক বছর বিরতি শেষে আবারও তাঁর সঙ্গে নতুন সিনেমায় কাজ করছি। সিনেমাটির গল্প, আমার চরিত্র—সবই এককথায় দুর্দান্ত। আমার ভীষণ ভালো লাগছে কাজ করে। এই সিনেমার পুরো ইউনিটটাই খুব ভালো। কাজের ব্যাপারে প্রত্যেকেই খুব সহযোগিতা করেন।’