ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি | ফাইল ছবি |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসি নির্মিত তথ্যচিত্র ঘিরে দেশটিতে তুমুল বিতর্ক চলছে। তথ্যচিত্রটি নিয়ে চটেছে ভারত সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। তবে বিবিসির তথ্যচিত্রটির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি বরং বলেছেন, সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে যে অভিন্ন মূল্যবোধগুলো এক করেছে, সেগুলোর সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা। তাঁর ভাষ্যমতে, বিভিন্ন বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত অংশীদারত্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও মানুষের মধ্যে গভীর বন্ধন।
ভারতের গণতন্ত্রকে ‘প্রাণবন্ত’ উল্লেখ করে নেড প্রাইস বলেন, ‘দুই দেশকে একত্র রাখতে আমরা সবকিছু করি। আর যেসব বিষয় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো শক্তিশালী করতে কাজ করি।’
১৭ জানুয়ারি রাতে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ শিরোনামে ওই তথ্যচিত্র যুক্তরাজ্যে সম্প্রচার করে বিবিসি। সেখানে প্রধানত দেখানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কীভাবে ২০০২ সালের গুজরাটের দাঙ্গাকে কাজে লাগিয়েছেন। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি। যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় এনে বিবিসি একটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে। সেটি হলো গুজরাট দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।
এদিকে তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে তিনি একমত নন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি ইমরান হোসেইনের এক প্রশ্নের জবাবে সুনাক বলেন, ‘কোনো ধরনের নিপীড়ন আমরা সহ্য করব না। কিন্তু এখানে সম্মানিত ব্যক্তিকে (নরেন্দ্র মোদি) যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে আমি একেবারে একমত নই।’
আর তথ্যচিত্রটির বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম
বাগচি বলেছেন, বিবিসির এই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানো হয়নি। এই তথ্যচিত্রে
ভারতের প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সম্পর্কে ইচ্ছেমতো বর্ণনা করা হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সম্পর্কে নিন্দা করা হয়েছে, যা রীতিমতো
পক্ষপাতদুষ্ট। এটি একেপেশে, এখানে কোনো বস্তুনিষ্ঠতা নেই। আর খোলাখুলি বললে
বলতে হয়, এখানে ঔপনিবেশিক মানসিকতার স্পষ্ট লক্ষণ ফুটে উঠেছে।’