বিচ্ছিন্ন হাত লাগল জোড়া

চ্ছিন্ন হাত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর পর মোকাররম হোসেনের সঙ্গে ছবি তোলেন চিকিৎসকরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: সপ্তাহ দুয়েক আগে সন্ত্রাসীদের হামলায় ডানহাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার অটোরিকশা চালক মোকাররম হোসেনের। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ওইদিন রাতে বিচ্ছিন্ন হাতসহ মোকাররমকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে।

হাসপাতালের ট্রমা সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তৎক্ষণাৎ মোকাররমের অস্ত্রোপচার শুরু করে চিকিৎসকদের একটি দল। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে জোড়া লাগে হাত। অস্ত্রোপচারের পরও তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা।

বিষয়টি জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা বলেন, ‘দুর্ঘটনায় শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো অঙ্গ সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে। অর্থাৎ কোষগুলো সতেজ থাকে। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন কোনো অঙ্গ জোড়া লাগানো সম্ভব।’

এ বিষয়ে ট্রমা সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ডানহাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর রোগী ও তার পরিবারের সম্মতিক্রমে আমরা দ্রুত সার্জারি করে হাত পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিই। সার্জারি করে তার হাতের হাড়, রক্তনালী, স্নায়ু ও মাংসপেশি জোড়া লাগানো হয়। এটি অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া ছিল এবং এমন সার্জারির জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা খুবই প্রয়োজন। সার্জারি শেষে রোগীকে যথাযথ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং আটদিন পর তিনি বাড়ি ফিরে যান।’

অস্ত্রোপচারে ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সানাউল হক সরকার, প্রফেসর ডা. জুনায়েদ ও ডা. নাবিলা।

বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগায় ভীষণ খুশি মোকাররম হোসেন বলেন, ‘এভারকেয়ার হসপিটাল, ডা. ঋতুরাজ ও তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমি বর্তমানে সুস্থ আছি।’