বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বক্তব্য দেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি রাজশাহী: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন।  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথাগুলো শুনবার জন্য মানুষ জনসভায় আসতে চায়, মানুষ কাছে এসে নিজের কানে শুনতে চায়, প্রধানমন্ত্রীকে নিজের চোখে দেখতে চায়, সেজন্য ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। জনসভায় মানুষের ঢল নামবে।  জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসবেন। বিশাল এই জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র লিটন।
 
রাজশাহী মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।  প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়েছেন, মেট্রোরেলসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন- বিএনপি যদি আবারো আগুন সন্ত্রাস করতে আসে, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, কুরআন শরিফ পোড়াতে চায়, রাস্তার গাছ কেটে ফেলতে চায়, অরাজকতা করতে চায় তাহলে তাদের সেই হাত ভেঙে দিতে হবে, সেই হাত পুড়িয়ে ফেলতে হবে।  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত আছি।  

সভার আলোচক রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব লড়াই-সংগ্রামে সাথে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস।

সভায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজসহ বিভাগের সব জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগের নেতারা অংশ নেন।