পাবনায় খ্রিস্টান পল্লীতে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে দুই দফা হামলা

সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সকালে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলার জগতলা খ্রিস্টান পল্লীতে অনুষ্ঠিত একটি বিয়ে বাড়িতে স্থানীয় যুবলীগের দুই নেতার নেতৃত্বে দুইবার হামলার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সকালে এ হামলা চালানো হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বাড়ি ও এর আশপাশে বেশকিছু পুলিশ সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পুলিশ পাহারায় অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের কার্যক্রম।

হামলাকারীরা হলেন- মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জগতলা গ্রামের মৃত নূরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য একই গ্রামের নূর সালামের ছেলে রবিউল ইসলাম।

জগতলা গ্রামের সুব্রত গোমেজ জানান, তার ভাই মৃত সুবল গোমেজের ছেলে সনির বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল মঙ্গলবার।

এ জন্য সোমবার রাতে গায়ে হলুদ উপলক্ষে সনির বাড়িতে পরিবারের ছেলেমেয়েরা নাচ-গান করছিল।

আনুমানিক ১১টার দিকে আমির হোসেন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সেখানে উপস্থিত হয়ে নাচে অংশ নিতে চাইলে বয়োজ্যেষ্ঠরা তাকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুব্রতকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকি-ধামকিও দেন আমির। পরে তার সঙ্গে কয়েকজন সহযোগীও এসে যোগ দেন।

বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং মঙ্গলবার সকালে এর মীমাংসার কথা হয়।

কিন্তু রাত ২টার দিকে আমির আলীর সহযোগী রবিউল ওই বাড়িতে আসেন এবং আবারও হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় চেয়ার প্লেট ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।

মঙ্গলবার সকালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গীর্জায় যাওয়ার পথে আমির ও রবিউল সহযোগীদের নিয়ে আবারও হামলা চালান। এ সময় তারা ভ্যান থেকে নামিয়ে বর ও কনে পক্ষের জন কস্তা, শ্রাবন কস্তা, বিশাল কস্তা, জেকসন ক্রুজ, প্রত্যয় গোমেজ, ট্যারেস রিবেরু সহ আরও কয়েকজনকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপাতত কোনো সমস্যা নেই। যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ ঘটনার অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’