সিরাজগঞ্জে সালিসের পর বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে ছুরিকাঘাত, গৃহবধূ নিহত

ছুরিকাঘাত | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে স্বামীর বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে পারভীন বেগম (৬৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কর্নসুতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পারভীন বেগম ওই গ্রামের চাঁদ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তারা সরকার। তিনি চাঁদ আলীর বড় ভাই। পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধরে তারা সরকার আহত হয়ে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও পারভীনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারভীন বেগমের স্বামীর বাড়িতে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে একটি সালিস বসে। ওই সালিসে তারা সরকার পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে পারভীন অভিযোগ তুললে তাঁরা দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পারভীনের স্বামীর দাবি, বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা সরকার পারভীনকে ধারাল ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এতে পারভীন গুরুতর আহত হলে বাড়ির লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের পিটুনিতে তারা সরকার আহত হন।

পারভীনের স্বামী চাঁদ আলী বলেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর রুমেল নামের প্রতিবেশী এক যুবক আমার বাড়ি থেকে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি মোটর চুরি করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বিকেলে সালিস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমার বড় ভাই রুবেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে সালিস শেষে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে পারভীন কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এর একপর্যায়ে আমার ভাই আমার স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী প্রধান বলেন, মঙ্গলবার রাতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তারা সরকারকে পুলিশি হেফাজতে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।