নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ১ হাজার ২৮০ জন নির্বাচিত হয়েছেন দিনাজপুর জেলা থেকে। সবচেয়ে কম ১৪২ জন নির্বাচিত হয়েছেন জয়পুরহাট জেলা থেকে।
১৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৬১ জেলার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কোন জেলা থেকে কতজন নির্বাচিত
কুষ্টিয়া জেলায় ৫১৪ জন, খুলনায় ৭৯৯, চুয়াডাঙ্গায় ২০৮, ঝিনাইদহে ৬৩১, নড়াইলে ৩৪৭, বাগেরহাটে ৭৪০, মাগুরায় ৩২০, মেহেরপুরে ১৫১, যশোরে ৬৫৯, সাতক্ষীরায় ৫৪৭, কক্সবাজারে ৪৮৮, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৭৭, চট্টগ্রামে ১ হাজার ২০২, চাঁদপুরে ৫০৪, নোয়াখালীতে ৮৫০, ফেনীতে ২৭৬, কক্সবাজারে ৬৩৭, লক্ষ্মীপুরে ৪০৩, কিশোরগঞ্জে ৬১৪, গাজীপুরে ৩৬৪, গোপালগঞ্জে ৪৮১ ও টাঙ্গাইলে ৯১৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া ঢাকা জেলায় ৪৬৫ জন, নরসিংদীতে ৩৪১, নারায়ণগঞ্জে ২৯৩, ফরিদপুরে ৫২৭, মাদারীপুরে ৪৪৫, মানিকগঞ্জে ৩১০, মুন্সিগঞ্জে ২৪৪, রাজবাড়ীতে ৩১৭, শরীয়তপুরে ৪৬৩, ঝালকাঠিতে ২৭৬, পটুয়াখালীতে ৯১৭, পিরোজপুরে ৬০৩, বরগুনায় ৬৩০, বরিশালে ১ হাজার ১১, ভোলায় ৮৩৩, জামালপুরে ৭৩৯, নেত্রকোনায় ৮৯১, ময়মনসিংহে ১ হাজার ১৮০ ও শেরপুরে ৩১৩ জন।
কুড়িগ্রামে ৮২৬ জন, গাইবান্ধায় ১ হাজার ২৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৬৭, নীলফামারীতে ৭৬১, পঞ্চগড়ে ৫০৮, রংপুরে ১ হাজার ৪২, লালমনিরহাটে ৪৪৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৮৯, নওগাঁয় ৮২০, নাটোরে ৩৯৮, পাবনায় ৭৩৯, বগুড়ায় ৭৫১, রাজশাহীতে ৬২১, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৮৬, মৌলভীবাজারে ৩৯৭, সিলেটে ৫২৫, সুনামগঞ্জে ৮১২ ও হবিগঞ্জে ৫৩৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে এ তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ তালিকা ছাড়া কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল করা হবে না।
নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ/প্রত্যয়ন ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে। স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন কিংবা উল্লিখিত পদে নিয়োগযোগ্য নয় মর্মে উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না।
এ ছাড়া নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব নথি যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব মূল সনদ (সব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, তিন কপি পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ/প্রত্যয়ন এবং ডোপ টেস্ট রিপোর্ট, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সনদসহ সশরীর উপস্থিত হতে হবে।