আটা-ময়দার দাম বাড়ছেই

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজারে গত কয়েক মাসে গমের দাম কমেছে। কিন্তু এর কোনো প্রভাব পড়েনি দেশের বাজারে। গত এক থেকে দুই মাসের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমেছে ৭০ থেকে ৯০ ডলার। এদিকে গত এক মাসে দেশের বাজারে প্যাকেট আটা-ময়দার দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

আটা-ময়দার মিল মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, এক থেকে দুই মাস আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন আটা-ময়দা তৈরির গমের দাম ছিল ৪৫০ থেকে ৪৯০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ মার্কিন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন গমের দাম ছিল ২৭৬ মার্কিন ডলার। জুনে ছিল ৩৭৯ মার্কিন ডলার ও জুলাইতে ৩১৬ মার্কিন ডলার।

পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি আটা-ময়দা ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিন-চার দিন ধরে বাজারে খোলা আটার দাম সর্বোচ্চ ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম ছিল ৬০ টাকা, যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। তবে প্যাকেট আটায় আগের দাম নির্ধারিত থাকায় মিলাররা সেটি সরবরাহ করছে না। গতকাল প্রতি দুই কেজির আটার প্যাকেট বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রোববার রাজধানীর বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকায়। এক মাস আগে ছিল ৬০-৬২ টাকায়। এ হিসাবে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।   গতকাল প্রতি কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। এক মাস আগে ছিল ৬২-৭০ টাকা। এ সময়ে প্যাকেটে দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রোববার প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৬৫-৭০ টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। 

গতকাল প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকায়। এক মাস আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা। এক মাসে দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমলেও দেশে আটা-ময়দার দাম বাড়ছে কেন? জানতে চাইলে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশে গম পৌঁছাতে ৪০-৪৫ দিন সময় লাগে। তবে এলসি জটিলতায় অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী গম আমদানি করতে পারেনি। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর প্রায় ১৫ লাখ টন গম আমদানি কম হয়েছে।