ফাইনালে ওঠার পর আর্জেন্টিনা দলের উদ্যাপন | ছবি: রয়টার্স |
খেলা ডেস্ক: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ইতিহাস খুব একটা মধুর নয়। তথ্যটা আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মন খারাপ করে দিলেও এটাই সত্যি। এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপে ‘চ্যাম্পিয়ন’দের সঙ্গে ২১টি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা জিতেছে মাত্র ৪টিতে!
আজ ফ্রান্সের বিপক্ষে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামার আগে এই পরিসংখ্যান আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মনে কিছুটা হলেও খচখচানি তৈরি করবে। আরও একটি তথ্য শঙ্কা জাগাতে পারে—১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনা কোনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে হারাতে পারেনি।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ জিতেছে, সেগুলোর একটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে। ১৯৯০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর সেই বিখ্যাত ম্যাচটি, যাতে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বাড়িয়ে দেওয়া বলে ক্লদিও ক্যানিজিয়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন। লক্ষণীয়, এই চার জয়ের তিনটিই এসেছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১–০ জয়, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২–১ জয় (ম্যারাডোনার ‘ঈশ্বরের হাত’ ও শতাব্দীর সেরা গোলের ম্যাচ), এ ছাড়াও সেবার জার্মানির বিপক্ষে ম্যারাডোনার দল জিতেছিল ৩–২ গোলে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর জার্মানির বিপক্ষে তিনবার হেরেছে আর্জেন্টিনা।
যার দুটি ফাইনালে (১৯৯০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল)। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যারাডোনার কোচিংয়ে আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৪–০ গোলে। জার্মানির বিপক্ষে ২০০৬ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১–১ গোলে ড্র থাকার পর আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জার্মানি সেমিফাইনাল খেলেছিল।
একইভাবে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ফিফার আইনে টাইব্রেকারে ‘জয়’ পাওয়া ম্যাচকে ‘ড্র’ হিসেবে ধরা হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনা হেরেছিল ১–০ গোলে।
২০১৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে
আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৪–৩ গোলে। সেই ফ্রান্সের সঙ্গেই এবার ফাইনাল। লিওনেল
স্কালোনির নেতৃত্বে মেসি, দি মারিয়া, হুলিয়ান আলভারেজ, এমিলিও মার্তিনেজরা
অনেক ইতিহাসই নতুন করে লিখছেন। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের প্রত্যাশা বিশ্ব
চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আজ লুসাইল স্টেডিয়ামে তাদের রেকর্ড কিছুটা উন্নত
হবে। ’৮৬ বিশ্বকাপের পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
জয়টি এলেই যে কেল্লাফতে।