ফাইল ছবি

প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলেছে, ঢাকায় নিযুক্ত কোনো কোনো দেশের কূটনীতিক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তা দৃষ্টিকটু। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের শিষ্টাচার বজায় রেখে তাঁদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের নামে ‘একটি মহল’ দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় লিপ্ত বলেও অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বিদ্যমান ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ’ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তীব্র নিন্দা জানায় ঢাবির শিক্ষকদের এই সংগঠন।

গতকাল শুক্রবারও বিবৃতি দিয়ে একই ধরনের কথা বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। বর্তমানে শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের ১৫ পদের ১৪টিতেই দায়িত্ব পালন করছেন নীল দলের শিক্ষকেরা। সদস্যপদে আছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের মাত্র এক শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সভা-সমাবেশসহ সব রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার রয়েছে। তবে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব যে মুহূর্তে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সেই মুহূর্তে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে।’

বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম ও সহনশীলতা বজায় রেখে সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি সুরক্ষার আহ্বান জানায়।