জাতিসংঘে ভাষণ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ |  ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিনিধি:  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ আ গ্যারান্টি অব পিস, ২০২৩’ শীর্ষক প্রস্তাবের ১৪তম প্যারায় সন্নিবেশ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর উক্তিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি।

মঙ্গলবার কোভিড–পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ সভায় ওই প্রস্তাব উত্থাপন করে তুর্কমেনিস্তান। পরে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

 জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিটি এবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ প্রস্তাবে সন্নিবেশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়”–এর প্রতি জোর দেওয়া হলে, তা উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।’

প্রস্তাবের এই অংশ ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দেওয়া প্রথম ভাষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

সাধারণ পরিষদে দেওয়া প্রথম ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন, সেগুলোর ধারণামূলক ভিত্তি থেকে অনুচ্ছেদটির প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিতের দিকনির্দেশনায় মিশনের কূটনীতিক মো. মনোয়ার হোসেন প্রস্তাবটির প্রস্তুতিপর্ব থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোসহ ৭০টি দেশ প্রস্তাবটি সমর্থন করে।