বেড়ায় ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

পাবনা জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি বেড়া: পাবনার বেড়া উপজেলার রূপপুর বারুনিতলা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আমিনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ব্রজেশ্বর বর্মণ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করেন।

মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ বি এম তৌফিক হাসান, বেড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইজউদ্দিন সরদার, বেড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শামসুর রহমান, সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. সবুজ, বেড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাজ্জাক ফকির ও বিএনপি নেতা শাহানুর শেখ। এ ছাড়া এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিএনপির অভিযোগ, ঢাকার গণসমাবেশে যাতে নেতা-কর্মীরা অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ ‘গায়েবি মামলা’ দিয়েছে। মামলার পরও নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত আছেন। অনেকে ইতিমধ্যে ঢাকা পৌঁছে গেছেন, আবার কেউ কেউ ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার রাত নয়টার দিকে রূপপুর বারুনিতলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় লক্ষ্য করে বিএনপির লোকজন দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেন। এর একটি বিস্ফোরিত হয় ও অন্যটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ককটেল নিক্ষেপকারীরা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেল দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আমিনপুর থানার এসআই ব্রজেশ্বর বর্মণ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ বি এম তৌফিক হাসান বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা। আমিসহ যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে, আমরা আজ হাইকোর্টে জামিন নিতে এসেছি। আশা করছি, হাইকোর্ট আমাদের জামিন দেবেন। কিন্তু ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা পুলিশের হয়রানির ভয়ে আছেন। তবে নেতা-কর্মীদের এ ধরনের মিথ্যা মামলা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাঁরা আরও উজ্জীবিত হয়ে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

বেড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইজউদ্দিন সরদার বলেন, রূপপুর বারুনিতলায় ককটেল বিস্ফোরণের যে অভিযোগ পুলিশ করেছে, সেটি পুরোপুরি সাজানো। চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাতে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়েছে। কিন্তু নেতা-কর্মীদের মনোবল উল্টো বেড়েছে।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা সোমবার রাতে রূপপুর বারুনিতলায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সাজানো বলে তাঁরা যে অভিযোগ দিচ্ছেন, সেটা সঠিক নয়।