খেলা ডেস্ক: কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল দুটিকে কী বলা যায়! পোল্যান্ডের গোলকিপার ভয়চেক সেজনি নিশ্চয়ই বলবেন, ওই গোল দুটি কামানের গোলা। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। অলিভিয়ের জিরু পোল্যান্ডের গোলমুখ খোলার পর এমবাপ্পের জোড়া গোলেই বিজয় নিশ্চিত ফ্রান্সের। আর এই গোল দুটিতে রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন পিএসজির ফরাসি তারকা।

৭৪ মিনিটে ডি-বক্সের কাছে বল পেয়ে কাছের পোস্টে দুর্দান্ত এক শটে পোলিশ গোলকিপার সেজনিকে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে। তাঁর শটে জোর এত বেশি ছিল যে সেজনির মতো গোলকিপারও কিছুই করতে পারেননি। এই গোলে বিশ্বকাপে তিনি পেয়ে যান তাঁর অষ্টম গোলটি। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভাঙেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড। পেলে তাঁর ২৪ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই বিশ্বকাপে ৭ গোল করেছিলেন। ফরাসি তারকা নিজের ২৪ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে সেই রেকর্ড ভেঙে করলেন ৮ গোল। এবারের বিশ্বকাপে এটি ছিল এমবাপ্পের চতুর্থ গোল। যার মাধ্যমে তিনি আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, স্পেনের আলভারো মোরাতা, ইংল্যান্ডের মার্কাস রাশফোর্ড ও ইকুয়েডরের এনার ভ্যালেন্সিয়াকে পেছনে ফেললেন।

এমবাপ্পে এখানে থামেননি। যোগ করা সময়ে প্রায় একই জায়গা থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। তবে এই গোলটি তিনি করেন দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে। গোলটির সময় তিনজন পোলিশ ডিফেন্ডার তাঁর সামনে ছিলেন। এমবাপ্পে বাঁকানো শটে তিন রক্ষণসেনাকে বোকা বানিয়ে গোলকিপার সেজনিকে পরাস্ত করেন তিনি। বিশ্বকাপে নবম গোল করে তিনি পাশে বসলেন মেসির। বিশ্বকাপে ৯ গোল করা এই দলে মেসি ছাড়াও আছেন ব্রাজিলের আদেমির, ভাভা, জার্জিনিও, পর্তুগালের ইউসেবিও, জার্মানির কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে, উয়ি সিলার, ইতালির পাওলো রসি, রবার্তো ব্যাজ্জো, ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরি, স্পেনের ডেভিড ভিয়া ও আর্জেন্টিনার গিয়ের্মো স্তাবিলে। এমবাপ্পে দুটি বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ খেলে এই রেকর্ড গড়লেন। মেসি ৯ গোল করেছেন ২৩ ম্যাচে। এমবাপ্পের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে ৯ গোল করেছেন শুধু ব্রাজিলের আদেমির (৬ ম্যাচ), পর্তুগালের ইউসেবিও (৬ ম্যাচ) ও ইতালির ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরি (৯ ম্যাচ)।