প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন | ছবি: বাসস |
বাসস, ঢাকা: আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে দেশকে গড়ে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান, তা কখনোই আমরা ভুলি না। তাই আমরা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান করছেন। তাঁদের সুবিধাগুলো, যেমন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
একটানা তিনবার ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন বলেই মানুষের জন্য কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যেসব মুক্তিযোদ্ধা একেবারে অবহেলিত পড়ে ছিলেন, সরকার তাঁদের খুঁজে বের করে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাঁদের ভাতার ব্যবস্থা করা, মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা, এমনকি তাঁদের দাফনের ব্যবস্থাও আমরা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা আমার বাবার ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন, তাঁদের সম্মান করা, মর্যাদা দেওয়াই আমাদের কাজ। দল-মত পৃথক থাকতে পারে, কিন্তু তাঁদের অবদান আমি কখনো ছোট করে দেখিনি, অবহেলা করিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) অবদান চিরকাল মনে রাখব। আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি দেখে বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারে, তাহলে তারা অনুপ্রাণিত হবে, জানবে কীভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখানে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি দখলদারির পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করবে না। ভবিষ্যতে কেউ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে অবহেলার চোখে দেখবে না।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তাঁর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে।