মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির (বামে) ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব

প্রতিনিধি গাজীপুর: কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার–২ থেকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) হেফাজতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ঢাকার সিজেএম আদালতে আনা হয়েছিল। তবে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আসামিরা ঢাকার আদালত পুলিশের হেফাজতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় জিএমপির দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়সংলগ্ন ঢাকার সিজেএম আদালত ফটকের সামনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির (২৪) ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে (৩৪) সহযোগীরা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ পুরস্কার দেওয়া হবে।

পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাঁদের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে ছিনতাই হওয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামিরের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামে।

ঢাকার সিজেএম আদালতের আটতলায় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার খান বলেন, ‘আদালতে শুনানি শেষে এই দুজনকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রোববার বিকেলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর কারাগার থেকে একজন উপপরিদর্শকের দায়িত্বে ১০ সদস্যের একটি দল কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের ঢাকায় আদালত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আদালত পুলিশের হেফাজত থেকে আসামিরা পালিয়ে যান।

জিএমপির পুলিশ সদস্যদের দিয়ে প্রতিদিনই আসামিদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, আবার আদালত থেকে কারাগারে ফেরত আনা হয় উল্লেখ করে মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, রোববারের ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও তাঁরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছেন।