কাতার পৌঁছে গেছেন নেইমার | ছবি: রয়টার্স |
খেলা ডেস্ক: কাতারে পৌঁছে গেছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পিঠে ফেবারিট তকমা নতুন কিছু নয়। বলতে গেলে প্রতিটি বিশ্বকাপেই ব্রাজিল খেলতে নামে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে নিতে পারেনি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দলটি।
এবার ব্রাজিলিয়ানদের ২০ বছরের হাহাকার ঘোচাতে চান নেইমার। হেক্সা (ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা) জয়ের মিশন নিয়েই কাতারে এসেছে তাঁর দল। কাতারে পা রাখার আগেই অবশ্য হেক্সা জয়ের চ্যালেঞ্জের কথা তাঁর পিএসজির সতীর্থ আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে জানিয়ে এসেছেন নেইমার। এ ছাড়া কাতারে যাওয়ার আগে শর্টসে ছয় তারা লাগানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
যে দল এখন পর্যন্ত যতটি বিশ্বকাপ জিতেছে, তাদের জার্সি আর শর্টসে সেই কয়টি তারকা আঁকা থাকে। নেইমার তাহলে পাঁচটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের শর্টসে ছয় তারকা দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন—এমন প্রশ্ন উঠেছে চারদিকে!
ব্রিটিশ পত্রিকা টেলগ্রাফের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ ঘিরে নিজের স্বপ্নের কথা বলেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। বিশ্বকাপে নিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে নেইমার বলেন, ‘আমি খুশি, আমি ইদানিং ক্লাবে খুব সুখে আছি। এ কারণেই আমার মনে হচ্ছে, আমি খুব ভালোভাবেই তৈরি।’
নেইমার এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতলেও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। বেলো হরিজন্তের সেই ম্যাচে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে ৭-১ গোলে উড়ে গেছে ব্রাজিল। আর ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেছে নেইমারের ব্রাজিল।
এবার বিশ্বকাপে আসার আগে নেইমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটা হতে পারে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। সেদিক থেকে শেষটা রাঙাতে চান তিনি। মেসিরও এটা সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার অধিনায়কও দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ জিততে না পারার অপূর্ণতা ঘোচাতে চান।
এসব নিয়ে কি মেসির সঙ্গে কথা হয়েছে নেইমারের? টেলিগ্রাফের সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির সঙ্গে কমই কথা হয়েছে আমার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হবে কি না, কখনো কখনো আমরা এ নিয়ে আলোচনা করি। আমি তাকে বলেছি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব এবং আমি তাকে হারাব। এটা বলার পর আবার আমরা দুজনই হাসি।’