এবি ইনবেভ-এর সঙ্গে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের চুক্তি আছে ফিফার | এএফপি |
খেলা ডেস্ক: রোববার শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ, কিন্তু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে এসে স্টেডিয়াম এলাকায় অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ফিফা। এমন সিদ্ধান্তে নিজেদের কড়া প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে ফুটবলারদের সমর্থক সংস্থা।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাতারে এমনিতে বেশির ভাগ জায়গায় অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। তবে বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামগুলোতে এর ব্যতিক্রম করা হবে, জানানো হয়েছিল আগে। কাতার ও ইকুয়েডর ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে বিয়ারের অস্থায়ী দোকানও বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এর মধ্যে হুট করেই আজ এক বিবৃতিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল ফিফা।
বিবৃতিতে ফিফা বলেছে, ‘ফিফা ফ্যান ফেস্টিভ্যাল, সমর্থকদের অন্যান্য গন্তব্য ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত জায়গায় অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিক্রির দিকে নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০২২ সালে কাতারের ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে বিয়ার বিক্রির জায়গা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
হুট করে কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটির ঠিক ব্যাখ্যা দেয়নি ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, স্টেডিয়ামের ভেতরে যাতে কেউ অস্বস্তিতে না থাকে, এ কারণে কাতারিদের এমন সিদ্ধান্ত। কাউকে মদ্যপান করতে দেখলে বা কেউ মাতলামি করলে, সে পরিবেশ থাকবে না বলে মনে করে দেশটি। তাদের মতে, বিশ্বকাপে বেশির ভাগ দর্শক এশিয়ান ও মধ্যপ্রাচের দেশগুলো থেকে আসবে। যাদের সংস্কৃতিতে মদ্যপান সেভাবে নেই।
এমনিতে এবি ইনবেভ-এর সঙ্গে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের চুক্তি আছে ফিফার। ফিফার এমন সিদ্ধান্ত চুক্তির লঙ্ঘন বলে মনে করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই বিয়ার কোম্পানি।
ফিফার সিদ্ধান্তের পর কোম্পানিটি টুইটারে লিখেছিল, ‘আচ্ছা, এটা বিব্রতকর।’ যদিও পরে সে টুইট মুছে ফেলা হয়েছে। ফিফা তাদের বিবৃতিতে যোগ করেছে, ‘এবি ইনবেভের এ ব্যাপারটি বুঝতে পারা ও ক্রমাগত সমর্থনের প্রশংসা করে টুর্নামেন্টের আয়োজকেরা।’
বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামে এখন শুধু ভিআইপি স্যুটে বিয়ার পাওয়া যাবে, যেগুলোর জন্য খরচ করতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। অ্যালকোহল মিলবে নির্দিষ্ট কিছু ফ্যান জোনে। এ ছাড়া ৩৫টির মতো হোটেল ও বার আছে সেখানে। স্টেডিয়ামে অ্যালকোহলমুক্ত বাডজিরো ও কোকাকোলার মতো পানীয়ও পাওয়া যাবে, জানিয়েছে ফিফা।
এদিকে ফিফার এমন সিদ্ধান্ত ‘যোগাযোগের ঘাটতি’ বলে উল্লেখ করেছে ফুটবল সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসভিত্তিক ফুটবল সমর্থকদের এ সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যদি এত স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিজেদের মনোভাব বদলায়, সেটিও কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই, তাহলে থাকা, যাতায়াত ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাদের প্রতিজ্ঞার ব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগবে সমর্থকদের মনে।’