মসলার বাজার | ফাইল ছবি |
প্রতিনিধি বগুড়া: উত্তরাঞ্চলের মসলার বড় মোকাম হিসেবে পরিচিত বগুড়ার রাজাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে বর্তমানে জিরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা এলাচি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, কালো এলাচি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৌরি ২৬০ টাকা, মেথি ২০০ টাকা, দারুচিনি ৩৬০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ টাকা, কালিজিরা ২৮০ টাকা, কাজুবাদাম ১ হাজার ১০০ টাকা ও কাঠবাদাম ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক মাস আগে একই বাজারে জিরা প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, সাদা এলাচি ১ হাজার ৩০০ টাকা, কালো এলাচি ৯০০ টাকা, মৌরি ১৬০ টাকা, মেথি ৯০ টাকা, কাজুবাদাম ৯০০ টাকা, কাঠবাদাম ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বেড়েছে দারুচিনি, সাদা গোলমরিচ, কালো গোলমরিচসহ সব ধরনের মসলার।
অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে শুকনা মরিচের। এক মাস আগে রাজাবাজারে ভালো মানের শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ভালো মানের এক কেজি শুকনা মরিচের দাম হয়েছে ৪৫০ টাকা। এক মাস আগের ৫০ টাকা কেজি আদার দাম দ্বিগুণ হয়ে আজ শুক্রবার ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে এক কেজি আদার দাম উঠেছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।
শহরের ফতেহ আলী খুচরা বাজারের একটি দোকানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গরমমসলা কিনতে আসা ক্রেতা শহরের সূত্রাপুর এলাকার জাকির হোসেন বলেন, এক মাস আগে আধা কেজি জিরা কিনেছিলাম ১৮০ টাকায়। এখন সেই আধা কেজি জিরা কিনতে গুনতে হচ্ছে ২৮০ টাকা। অন্য মসলার বাজারেরও একই অবস্থা।
রাজাবাজার মোকাম থেকে আমদানি করা মসলা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা দেশে সরবরাহ হয় বলে জানিয়েছেন মসলার বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজভান্ডারের মালিক ও রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ।
তিনি বলেন, এই মোকামে বেশির ভাগ মসলা আসে ভারত, মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল ও চীন থেকে। ডলারের দাম অস্থিতিশীল হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে টাকা দিয়েও ডলার মিলছে না। এ সংকটের মধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ করেছে। এতে মসলার আমদানি প্রায় বন্ধ। সরবরাহঘাটতিও দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে মসলার বাজার এখন বেশ ‘গরম’।