নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ একটু কম দামে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বা ওএমএস থেকে চাল ও আটা কিনছিলেন। সাধারণ মানুষের কম দামে আটা কেনার সেই সুযোগও এখন সংকুচিত হয়ে আসছে। কারণ, ওএমএসের আটার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বলা হয়, নতুন দর অনুযায়ী প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হবে ২৪ টাকায়। এত দিন ওএমএসের ট্রাকে প্রতি কেজি খোলা আটা ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এ ছাড়া দুই কেজির প্যাকেটজাত আটা আগে বিক্রি হতো ৪৩ টাকায়। সেটির দাম বাড়িয়ে এখন ৫৫ টাকা করা হয়েছে। খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় ধরনের আটার দামই কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিতরণ বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন কুমার দাস বলেন, আগামী রোববার থেকে নতুন দরে বিক্রি হবে ওএমএসের খোলা ও প্যাকেটজাত আটা।
ওএমএস কর্মসূচির আওতায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করে খাদ্য অধিদপ্তর। সারা দেশে পরিবেশকের মাধ্যমে ও ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত পরিবেশক ও ট্রাকে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আটার দাম বাড়ানো হলেও চালের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সরকারের কম দামে বিক্রি করা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সংকটে থাকা গরিব মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। কারণ, বাজারে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য পণ্যের দাম বেশ চড়া। সর্বশেষ গত ১৫ দিনে বাজারে আটা, ময়দা ও মসুর ডালের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে সয়াবিন তেল ও চিনির দামও বাড়ানো হয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন মোটা চালের কেজি ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। আর খোলা আটা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও টিসিবির এই দরে বাজারে মোটা চাল পাওয়া যায় না। মোটা চাল কিনতে হয় ৫৫ টাকা কেজি। তবে কোথাও কোথাও ৫৩-৫৪ টাকায়ও মেলে মোটা চাল।
বাজারে বর্তমানে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেটজাত নতুন আটা বাজারে এসেছে। যার সর্বোচ্চ দাম রাখা হচ্ছে ১৪৪ টাকা। সেই হিসাবে প্যাকেটজাত আটার বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৭২ টাকা।