প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কুলিক নদীর পাশে অবস্থিত রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি। অযত্ম-অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে রাজবাড়িটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে এটি। তবে সম্প্রতি রাজবাড়ি পরিদর্শন শেষে এর সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে এটিকে পর্যটন স্পট করার ঘোষণা দেন। এমন খবরে স্বস্তির হাসি ফুটেছে সর্বস্তরের মানুষের মুখে।
রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার বয়স ৭০ বছরের বেশি। ছোটবেলা থেকে রাজবাড়িটি দেখে আসছি। ধীরে ধীরে এটি ভঙ্গুর থেকে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা বার বার এটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। আমাদের আশ্বাস দিলেও কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। তবে শুনলাম মঙ্গলবার প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের লোকজন রাজবাড়ি পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। এটি জেনে খুব ভালো লাগছে।
স্কুলশিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ি সংস্কারের জন্য আমরা বার বার দাবি তুলেছি। মাদকসেবনের জন্য এটি একটি অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে। অবশেষে একটি সুখবর পেলাম। আমরা এর সুবিধা না পেলেও পরবর্তী প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করবে বলে আমরা আশা করছি।
শিগগিরই কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়ে দিনাজপুর কান্তনগরের সহকারী কাস্টডিয়ান হাফিজুর রহমান বলেন, সারা দেশে ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করে এমন প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর। সেই ধারাবাহিকতায় রাজা টংকনাথের রাজবাড়িটিও এর আওতাধীন। এটি ২০১৯ সালের ২৩ মে সরকারের তালিকাভুক্ত একটি গেজেটে স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আমরা এটি পরিদর্শন করেছি। এত দিন লোকবল কম হওয়ায় এর কাজ শুরু হয়নি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। সেইসঙ্গে রংপুরের তাজহাটের জমিদার বাড়ি ও দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দিরের মতো পর্যটন কেন্দ্র করা হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন বলেন, এটি রাণীশংকৈলবাসীর জন্য একটি ভালো খবর। আমি এ বিষয়ে সুধীজনদের নিয়ে বসবো।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি
আমাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর। আমরাও আমাদের মতো যোগাযোগ করব যেন খুব দ্রুত
সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হয়।