ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন
প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আগামী ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার ডাকে খেলা হবে। বিএনপি বেশি লাফালাফি করছে। বেশি ফাউল করছে। তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে বাংলাদেশের জনগণ।
শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে আলোচিত ‘খেলা হবে’ স্লোগান ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাকে মনোনয়ন দেবেন, এই বাণিজ্য করছেন। এমপি ও মন্ত্রী বানাবেন বলে বস্তা ভরে টাকা নিচ্ছেন। খেলা হবে, খেলা হবে, বাণিজ্যের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা সুইচ ব্যাংকে পাচার করেছেন তারেক রহমান। আমেরিকা থেকে এফবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তারেক রহমান অর্থ পাচারকারী। তারেক রহমান গোপনে মুচলেকা দিয়েছেন যে ‘আর রাজনীতি করব না’।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্টের ‘মাস্টার মাইন্ড’ (মূল পরিকল্পনাকারী) ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, তাহলে এই হত্যাকাণ্ড হতো না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন বিদেশে চাকরি দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে পঞ্চম সংশোধনী করেছেন। খন্দকার মোশতাক আহমদ তাঁর সেনাপতি ছিলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজুলল করিম সেলিম। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য পারভিন জামান ও মেরিনা জাহান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম।