পরীমনি, মিম, রাজ | কোলাজ |
বিনোদন সংবাদ: চলচ্চিত্রের পর্দায় মিমের সঙ্গে শরীফুল রাজের প্রেমের সম্পর্ক সবাই দেখেছেন। ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’-এ তাঁদের জুটি দর্শকেরা গ্রহণও করেছেন। পর্দায় এই জুটির সাফল্যের গল্প চলছিল যখন, ঠিক তখনই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে বলে আভাস দিলেন ঢালিউডের আলোচিত তারকা পরীমনি। বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি মিমকে ট্যাগ করে স্বামীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বলেছেন।
মিমের সঙ্গে চিত্রনায়ক স্বামী শরীফুল রাজের প্রেমের সম্পর্ক চলছে, এমন ইঙ্গিত পরীমনি আগেও দিয়েছিলেন। এর আগেও ‘দামাল’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার সময় হাত ধরাধরি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন পরীমনি। এবার সরাসরি মিমকে ট্যাগ করে নিজের স্বামীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার পরামর্শ দিলেন পরীমনি। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মিম ও রাজ কেউ কিছুই বলেননি।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। সেখানে তিনি মিম ও রাজের দুই ছবির পরিচালক রায়হান রাফিকে ‘দালাল’ বলে আখ্যা দেন।
মিমকে ট্যাগ করে পরীমনি লেখেন, ‘মিম, নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।’ অন্যদিকে রাফিকে ট্যাগ করে পরীমনি লেখেন, ‘সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে দালালিটাও ভালো করেন দেখি।’ আর চিত্রনায়ক স্বামী রাজের উদ্দেশে এই নায়িকা লেখেন, ‘এটা এত দূর গড়াতে দেওয়া উচিত হয় নাই তোমার।’
‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরীমনি ও শরীফুল রাজ প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ান, গত বছরের অক্টোবর গোপনে বিয়ে সেরেছেন। পরে দুই পরিবারের সদস্যদের আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলজুড়ে আসে পুত্রসন্তান রাজ্য।
অন্যদিকে বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর দেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ৪ জানুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই তারকা। কেটে গেছে ১০ মাস। বিয়ের আগে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল, ব্যাংকার বিয়ে করতে যাচ্ছেন লাক্স তারকা বিদ্যা সিনহা মিম। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করা হলে ব্যাংকারের বিষয়ে নীরব ছিলেন এই মডেল ও অভিনয়শিল্পী। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হয়। গত বছরের ১০ নভেম্বর ব্যাংকারের সঙ্গে আংটি বদল করেন মিম। নিজের জন্মদিনে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সন্ধ্যায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বাগদান সম্পন্ন হয়।
মিমের বরের নাম সনি পোদ্দার। কুমিল্লার ছেলে সনি দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করছেন। মিম তখন জানিয়েছিলেন, ছয় বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। একটা সময় দুই পরিবারের সদস্যদের তাঁদের সম্পর্কের কথা জানানো হয়। দুই পরিবারই শুরু থেকে ইতিবাচক ছিল। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন গত বছরের জন্মদিনে বাগদান সেরে নেওয়ার। পরিবারের সিদ্ধান্তেই তাঁরা দুজন বাগদান সেরে নেন।