মৌসুমী | ছবি:সংগৃহীত |
বিনোদন প্রতিবেদক: একই দিনে দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। একটি ‘ভাঙন’ অন্যটি ‘দেশান্তর’। এর মধ্যে ‘ভাঙন’ ছবি নিয়ে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ছবি প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি উপস্থিত থাকা ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘নতুন অনেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আসছেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেক ভালো মানের কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে তাঁরা অনেক মেধাবী। আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে তাঁরা আরও অনেক ভালো কাজ করতে পারবেন। আপনারা যদি শুধু তাঁদের স্ক্যান্ডাল খোঁজেন, তাহলে তাঁরা এগিয়ে যেতে পারবেন না। তাঁদের অনেক উৎসাহ দিতে হবে।’
প্রযোজক ও পরিচালক সূত্রে পাওয়া খবরে আজ বুধবার পর্যন্ত মৌসুমী অভিনীত দুটি চলচ্চিত্র দেশের ৩০টির মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। ‘ভাঙন’ পরিচালনা করেছেন মির্জা সাখাওয়াত হোসেন। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, একটি রেলস্টেশনে জড়ো হওয়া কিছু প্রান্তিক ও ছিন্নমূল মানুষকে। এখানে আছে হকার, যৌনকর্মী, পকেটমার, বংশীবাদকসহ নানা ধরনের মানুষ। তাদের জীবনযাত্রা, বেঁচে থাকা, প্রত্যাশার গল্প নিয়েই ‘ভাঙন’। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়, রাশেদা চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যদিকে কবি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানের ছবি ‘দেশান্তর’ নির্মাণ করেছেন আশুতোষ সুজন। দেশভাগের ওপর লেখা ‘দেশান্তর’ উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্রের নাম অন্নপূর্ণা। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন আহমেদ রুবেল। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, শুভাশিস ভৌমিক, মোমেনা চৌধুরী, ইয়াশ রোহান ও টাপুর।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে মৌসুমীর। প্রথম ছবিই তাঁকে এনে দেয় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। এরপর লম্বা সময় ঢালিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন মৌসুমী। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বড় পর্দায় আগের মতো সরব নন তিনি।
অনেকটা ক্ষোভ ঝেড়ে মৌসুমী তাঁর সময়ের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমরা কি ভুল
করিনি? আমরাও অনেক ভুল করেছি। ভুল শুধরে নেওয়া, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা
এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া, এই কাজগুলো কিন্তু
সাংবাদিক ভাইয়েরাই করেছেন। কিন্তু এখন যাঁরা কাজ করছেন, আপনারা সেটা করেন
না। আপনার যা ইচ্ছা তা-ই নিউজ, ভিডিও করে উপস্থাপন করেন। তাতে আমাদের
ছেলে-মেয়েদের ভালো হওয়ার রাস্তা নেই। এ ছাড়া যাঁরা নতুন সম্ভাবনাময় কাজ
করছেন, তাঁরাও আগ্রহ হারাবেন।’