আল হেলাল শুভ, ঢাকা: কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় উলেমা মাশায়েখ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর সময়ে হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে তাণ্ডব চালানোর পর দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় ছিল ধর্মভিত্তিক এই সংগঠনটি।

ঝিমিয়ে পড়া হেফাজত এমন একসময় কমসূচি দিল, যখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জনসমাবেশ ও পাল্টা জনসমাবেশের প্রতিযোগিতা চলছে। রাজনীতির মাঠ ক্রমে গরম হয়ে উঠছে।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা সংগঠনে চাঙ্গাভাব আনতে এমন কর্মসূচি দিয়েছেন তারা। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।

সংগঠনের নেতারা বলছেন, উলেমা সম্মেলনে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হবে, যার মধ্যে অন্যতম হবে কারাগারে থাকা আলেমদের মুক্তি।

গত রোববার দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, তারা এখন তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার দিকে নজর দিচ্ছেন। ওই সম্মেলনের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দেন তারা। তবে তারা বলছেন, সরকারের কাছে কারাগারে থাকা নেতা-কর্মীদের মুক্তি ছাড়াও মামলা প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরবেন তারা।

‘সংগঠনের নেতারা বলছেন, হেফাজতে ইসলামের প্রভাবশালী নেতা শাহ আহমেদ শফি, জুনায়েদ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম জিহাদীর মৃত্যুর পরে সংগঠন দুর্বল হয়ে যায়। এ ছাড়া সংগঠনের বর্তমান কমিটি নেতৃত্বে আসার আগে থেকেই অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে থাকায় তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে ঢাকার নতুন নেতৃত্বে অরাজনৈতিক নেতারা আসায় তেমন কোনো কর্মসূচি এত দিন দেয়া হয়নি। কিন্তু এখন আবারও চাঙ্গা হতে চান তারা।

হেফাজতে ইসলাম ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিল ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে। এরপর বরাবর রাজনৈতিকভাবে সংগঠনটিকে সক্রিয় দেখা যায়। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদীর মৃত্যুর পর থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে সংগঠনের কর্মকাণ্ড।

গত রোববার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সারা দেশে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রায় এক বছর পর চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় কমিটির ওই বৈঠক ডাকেন সংগঠনের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। জেলাপর্যায়ে কমিটি করার জন্য সংগঠনের মহাসচিব সাজিদুর রহমানসহ পাঁচজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠা থেকে ধর্মভিত্তিক এই সংগঠনটির সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা হতো চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে। কিন্তু সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর থেকে ফটিকছড়ি মাদ্রাসা থেকে নেতৃত্ব পরিচালনা করছেন হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি। তবে সর্বশেষ কেন্দ্রীয় বৈঠকটি ফের হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস বলেন, ‘আমরা তো অনেক দিন ধরে চাঙ্গাভাবে আসতে পারিনি। কেউই পারেনি। এখন চেষ্টা করা হবে। আগে কর্মসূচি পালন করিনি বলে কি এখন করব না?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ঢাকার কমিটি সম্প্রসারণ ছাড়াও চট্টগ্রামের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে জেলার কমিটি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর প্রতিরোধ করা নিয়ে ২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিলে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। সে সময় বক্তৃতা-বিবৃতিতে সরকারের পতন ঘটানোর কথা বলেন তখনকার নেতারা। মোদির সফর চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে তাণ্ডবের পর ২৮ মার্চ হরতাল ডাকে সংগঠনটি। এ সময় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা করে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হেফাজত সমর্থকরা।

গত বছরের এপ্রিলে মামুনুল হকসহ হেফাজতের আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের পুরোনো মামলাগুলো সচল হয়। গ্রেপ্তার অভিযানের পর হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনীতি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। এরপর থেকে রাজনৈতিক কোনো ইস্যু দূরে থাক, ধর্মীয় কোনো বিষয়েও দেশজুড়ে কোনো কর্মসূচি নেই সংগঠনটির।

এখন কেন উলামা সম্মেলন– জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘আসলে আমাদের তো অনেক দিন কর্মসূচিই নেই। নুরুল ইসলাম জেহাদী সাহেবের ইন্তেকালের পর আর তো কোনো কর্মসূচি ছিল না। এ জন্য এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া, অন্য কিছু না। একটি সংগঠনের কিছু কর্মসূচি নিয়ে হয়, সংগঠনকে বাঁচায় রাখতে হলেও তো লাগে, নেতা-কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতেও তো লাগবে।’

ওই সম্মেলনে সারা দেশ থেকেই আলেমরা আসবেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস।

রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা অস্বীকার
হতে যাওয়া সম্মেলনটির কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অস্বীকার করেন মহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নেই। কারও সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন। ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলতেই এই সম্মেলনের আয়োজন করেছি। তবে কী বার্তা দেওয়া হবে সেটা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। একটি বার্তা তো অবশ্যই থাকবে। ক্ষমতায় কে যাবে, না যাবে– তা নিয়ে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কথা বলব।’

হল রুম ভাড়া করে ঘরোয়া পরিবেশে সম্মেলন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সারা দেশ থেকে আলেমদের এই সম্মেলনে নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মেলনটি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে করার ইচ্ছা রাখি, তবে এখনও কোনো কিছু ঠিক হয়নি।’

এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই।’

হেফাজতের দাবি কী
সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমির কী বার্তা দেবেন জানতে চাইলে মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কী বার্তা উনি দেবেন। তবে অবশ্যই আমাদের কিছু দাবি থাকবে। সে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। ওই দিন (রোববার) কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে কর্মসূচিই শুধু নির্ধারণ হয়েছে। আর কোনো আলোচনা হয়নি।’

ওই সম্মেলন থেকে কারারুদ্ধ আলেমদের মুক্তির বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি করা হতে পারে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের সব কর্মসূচিতেই এই দাবিটি থাকে। ২০১৩ সাল থেকে সবার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা দাবি, ধর্মীয় শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।’

সম্মেলন কেন ডিসেম্বরেই
আগামী ডিসেম্বরে সারা দেশে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক কর্মসূচি পালনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই ডিসেম্বরেই কেন হেফাজত উলেমা সম্মেলনের আয়োজন করছে, জানতে চাইলে মহিউদ্দিন রাব্বানী  বলেন, ‘যেহেতু হেফাজতে ইসলাম কওমি মাদ্রাসানির্ভর, সে কারণে ডিসেম্বরে আলেম-উলেমাদের সময়-সুযোগের বিষয় আছে। এর আগে মাদ্রাসাগুলোয় পরীক্ষা চলবে। আলেম-উলেমারা সবাই মাদ্রাসায় সম্পৃক্ত। সময় বিবেচনা করে ডিসেম্বরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এ বিষয়ে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস বলেন, ‘এখন মাহফিলের মৌসুম শুরু হবে। অনেক আলেম বড় বড় মাহফিল করবেন। এ কারণে সময়-সুযোগ করে ডিসেম্বরেই এটা করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন হেফাজতের আমির
কারাগারে থাকা আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেওয়া হবে বলে সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) চিঠি দিলে উনি হেফাজতের আমিরের কথা রাখবেন। ফলে আমাদের গ্রেপ্তারে থাকা আলেমদের মুক্তি দিয়ে দেবেন।’

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের প্রয়াত আমির শাহ আহমেদ শফীর কাছে ওয়াদা করেছিলেন যে ২০১৩ সালের মামলাগুলো প্রত্যাহার করবেন। সে বিষয়টিসহ কারাগারে থাকা আলেমদের মুক্তির জন্য আমাদের বর্তমান আমির উনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে চিঠি লিখবেন।’

গত বছরের ২৬ মার্চ ও এর পরবর্তী সময়ে হেফাজতের তাণ্ডবের পর যে গ্রেপ্তার অভিযান চলে সেখানে বিভিন্ন মামলায় শীর্ষস্থানীয় ৩০ নেতাসহ সারা দেশে ১ হাজার ২৩০ জনেরও বেশি কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এর পর থেকে কারাগারে থাকা নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন সংগঠনের নেতারা। হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা আর উত্তেজক কোনো বক্তব্য না দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেনদরবার করেন তাদের নেতাদের মুক্তির দাবি নিয়ে।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমেদ শফীর মৃত্যুর পর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়, তাতে সিংহভাগই বিএনপি জোটের শরিক বিভিন্ন ইসলামী দল থেকে নেয়া হয়। তবে নেতাদের গ্রেপ্তারের মধ্যে ২০২১ সালের এপ্রিলে সেই কমিটি বিলুপ্ত করে দেন তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।

এর মাস দেড়েক পর ৭ জুন বাবুনগরী ৩৩ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির কেউ সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত নন। সে সময় হেফাজতের বলিষ্ঠ কোনো অবস্থান না নেয়াকে কেন্দ্র করে সংগঠনে হতাশা দেখা দেয়। বিভিন্ন ফেসবুক পেজে কর্মী-সমর্থকরা নানাভাবে সমালোচনা করতে থাকেন। এর মধ্যে গত ১৯ আগস্ট মারা যান বাবুনগরীও। ২৯ নভেম্বর মারা যান মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী। পরে হেফাজতের আমিরের দায়িত্ব পান জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।

যেভাবে আলোচনায় হেফাজত
২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে নারী নীতিমালার বিরুদ্ধে সংগঠনটির যাত্রা। তবে সংগঠনটি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করে ২০১৩ সালে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের পাল্টা অবস্থান নিয়ে। শাহবাগ থেকে ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ওই বছরের ৬ এপ্রিল সংগঠনটি ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করে। তাদের এই শোডাউন ব্যাপক নজর কাড়ে বিভিন্ন মহলের।

এর এক মাস পর ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচিতে শাপলা চত্বরে অবস্থানকালে মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে পালাতে বাধ্য হন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এরপর সংগঠনটি অনেকটা চুপসে যায়। পরে সরকারের সঙ্গেও দেশের শীর্ষ এই আলেমের যোগাযোগ বাড়ে। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস সনদের সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হয়। এতে কৃতজ্ঞ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিও দেয়া হয়। তবে আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর হেফাজত বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ আলেমদের নিয়ন্ত্রণ চলে আসায় সংগঠনটি সরকারবিরোধী অবস্থানে চলে যায়।