মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে যোগ করা সময় | ছবি: রয়টার্স
খেলা ডেস্ক: ফুটবল ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর নানা কারণে নষ্ট হওয়া সময়ের জন্য রেফারি কিছুটা অতিরিক্ত সময় বা ইনজুরি টাইম যোগ করে থাকেন। তবে সেই অতিরিক্ত সময়টাও বেশির ভাগ সময় ৫-৭ মিনিটের বেশি দেখা যায় না।
ফুটবল ম্যাচে গোল ও উদযাপনের জন্য ১ থেকে দেড় মিনিট, খেলোয়াড়দের চোটের কারণে ২ থেকে ৩ মিনিট, খেলোয়াড় বদলের জন্য ৩০ সেকেন্ড করে সাধারণত যুক্ত হয় অতিরিক্ত সময়ে। এবার কাতার বিশ্বকাপে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি) প্রযুক্তির সাহায্য নেয়ার সময়।
ভিএআর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রেফারি মাঠের সাইডলাইনে যান, সেখানে রিপ্লে দেখেন ও ভিএআরের সিদ্ধান্ত জানতে পারেন। সবমিলিয়ে ৩-৫ মিনিট সময় খরচ হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়ায়।
যে কারণে এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত সময় যোগ হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের তিনটি ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৯ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে।
কাতারের আল খালিফা স্টেডিয়ামে ইরানের বিপক্ষে ৬-২ গোলে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। সে ম্যাচে ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়াইরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বাইরানভান্ডের। সে সময় সিন্ধান্ত নিতে ভিএআরের সাহায্য নেন মাঠে থাকা রেফারি।
বাইরান্দভান্দকে মাঠ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। যে কারণে নষ্ট হয় প্রায় ১৫ মিনিট, তাই প্রথমার্ধ শেষে যুক্ত হয় অতিরিক্ত ১৪ মিনিট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দীর্ঘতম প্রথমার্ধের রেকর্ড এটি।
এ ছাড়াও সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত আট মিনিট যোগ করায় নেদারল্যান্ডস সুবিধা পেয়েছিল। কারণ তারা সেই অতিরিক্ত সময়ে তারা দ্বিতীয় গোলটি করে। আরেক ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলসের ম্যাচটি চলে অতিরিক্ত ৯ মিনিট চলে।
ফিফার রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইজি কলিনা অতিরিক্ত সময় নিয়ে ইএসপিএনকে বলেন, ‘আমরা সবাইকে আগেই বলেছি, ম্যাচের অতিরিক্ত সময় দেখে যেন কেউ অবাক না হয়। ইলেকট্রনিক বোর্ডে ছয়, সাত বা আট মিনিট বা এর থেকেইও বেশি সময় দেখা যেতে পারে। আপনি যদি আরও সময় চান, আমরা সেটাও দিতে আমরা প্রস্তুত।’
অতিরিক্ত সময় দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তিনটি গোল করা একটি ম্যাচের কথা চিন্তা করুন। এক একটি উদযাপনে সাধারণত এক, দেড় মিনিট সময় লাগে। তাই তিন গোলের একটি ম্যাচে পাঁচ বা ছয় মিনিট সময় নষ্ট হচ্ছে। তার আমরা খেলার প্রতিটি অর্ধেকে সঠিকভাবে গণনা করে অতিরিক্ত সময় দিতে চাই। আমরা এটি করে রাশিয়া বিশ্বকাপেও সফল হয়েছি এবার কাতারেও আমরা একই আশা করছি।’