শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি | ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হবে। কাগজের সংকট নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক করা হয়েছে। 

শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ‘৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১ ও বইমেলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানব উন্নয়ন সূচকের সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়েছে। একইভাবে আমাদের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরির যে প্রচেষ্টা, সেখানেও উন্নতি করেছি।’

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, তখনো বর্তমান সরকার বই থেকে দূরে যাওয়ার কথা বলেনি। ঠিক তেমনি বইয়ের চাহিদার কারণে প্রকাশনাশিল্প গত কয়েক বছরে উন্নত ও আধুনিক হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষাসংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা আমাদের শিক্ষা পরিবারের সদস্য। তাঁদের এই আয়োজনে সাধুবাদ জানাই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সহসভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, মেহেদী হাসান, মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই মালিক সমিতি, নয়াবাজার পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পুরান ঢাকা কালি ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ মটরপার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি ও ঘড়ি ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।

অনুষ্ঠানে আয়োজিত প্রদর্শনীমূলক বইমেলা উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কর্মকর্তারা শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে মেলা পরিদর্শন করেন। এরপর ‘প্রকাশনা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালকসহ দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলা শাখার নেতারা বিপুলসংখ্যক পুস্তক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।