বাঁধের হাট রেলওয়ে স্টেশন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঢালারচর থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী রুটের ছয়টি স্টেশনে ১১ দিন ধরে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে স্টেশনগুলোর অন্যান্য কার্যক্রমও। ফলে এসব স্টেশন থেকে প্রতিদিন ট্রেনযাত্রীরা বিনা টিকিটেই রাজশাহী যাতায়াত করছেন। এতে রেল কর্তৃপক্ষ অর্ধলক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্মরত টিটিইরা হিমশিম খাচ্ছেন বিনা টিকিটের যাত্রীদের নিয়ে।

বৃহস্পতিবার পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁধেরহাট, কাশিনাথপুর, সাথিয়া রাজাপুর, তাঁতিবন্ধ, দুবলিয়া এবং রাঘবপুর-এ ছয়টি স্টেশনে কোনো ষ্টেশন মাষ্টার নেই। রেলওয়ের নিজস্ব লোকবলও নেই এসব স্টেশনে। দৈনিক মজুরিভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিক (টিএলআর) দিয়ে টিকিট বিক্রিসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৭ অক্টোবর থেকে এসব স্টেশনের অস্থায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি আদায়ে ঢাকায় আন্দোলন করছেন। ফলে স্টেশনগুলো বন্ধ রয়েছে।

ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী শফিকুল ইসলাম, দুর্জয় ইসলাম লিমন, মারুফা খাতুনসহ কয়েকজন বলেন, তাঁরা নিয়মিত এই ট্রেনে রাজশাহী যাতায়াত করেন। স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে না পেরে বাধ্য হয়ে ট্রেনে উঠে পড়েন। টিটিই চেক করতে এলে টিকিট কেটে নেন। না এলে বিনা টিকিটেই পৌঁছে যাচ্ছেন গন্তব্যে। গতকিছু দিন এভাবেই চলছে।

ট্রেন টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়। ছয়টি স্টেশনের কাউন্টার বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিনা টিকিট ট্রেনে উঠেছেন। এদের টিকিট করে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন বলেন, তাঁদের আওতায় ২২৭ কিলোমিটার রেলপথের ৪২টি স্টেশনে রেলওয়ের নিজস্ব কোনো জনবল নেই। এসব ষ্টেশনে দৈনিক মজুরিভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিক (টিএলআর) নিয়োগ দিয়ে টিকিট বিক্রিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ দেয়ায় হঠাৎ করেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।