ঢাকার আকাশে রোদের দেখা, বিভিন্ন রাস্তায় এখনো পানি, পড়ে আছে গাছ

 বাংলামোটরে পড়ে আছে গাছ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে রাজধানীতে আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি। আকাশ বেশ পরিষ্কার। সকাল নয়টার দিকে রোদ উঠেছে রাজধানীর আকাশে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর বৃষ্টি কমে যায়। তবে আজ সকালেও রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গ্রিন রোডে পানি নেমে গেলেও পশ্চিম তেজতুরী বাজারে এখনো প্রায় কোমরসমান পানি। ধানমন্ডি ২৭, পূর্ব তেজতুরী বাজার, মহাখালী উড়ালসড়কের নিচে, কাকলী সিগন্যাল থেকে বনানী উড়ালসড়ক পর্যন্ত, শান্তিনগর ও  পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি রয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় কিছুটা কম।

রাজধানীর শান্তিনগর, বসুন্ধরা সিটির সামনে, শাহবাগে বেশ কিছু বড় গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

ঢাকার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। 

গতকাল বিকেল পাঁচটা থেকে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ছিল তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে রাজধানীর গ্রিন রোড, গার্ডেন রোড, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, মিরপুর রোডের বেশ কিছু এলাকা, ধানমন্ডির অনেক এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যায়। ঢাকার অনেক নিচু এলাকায় বাড়িতে পানি ঢুকে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা, ঝোড়ো বাতাসসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসগুলোকে বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩  নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশজুড়ে কেড়ে নিয়েছে পাঁচ নারী, দুই শিশুসহ নয়জনের প্রাণ। এর মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায়; দুজনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে।