ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে শেষ বিকেলে ঝড়ো বাতাস ছিল প্রবল। সোমবার বিকেলে খুলনার কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো বাতাসে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিহীন ছিল জেলার বেশির ভাগ এলাকা। বিকেল থেকে শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রোববার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় বাগেরহাটে। রাত থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টি। সোমবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হওয়া বাতাসে গাছপালা উপড়ে ও ডালপালা ভেঙে পড়তে থাকে। মূলত এর পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো বাগেরহাট।

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না দুই বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকো। বিদ্যুৎ না থাকায় ভেঙে পড়েছে টেলিযোগাযোগসেবা। বিকেল থেকে মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক জটিলতা দেখা দেয়। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট।

একদিকে সিত্রাং আতঙ্ক, অন্যদিকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় অস্বস্তিতে পড়েছে লোকজন। শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা এলাকার নাজমুল হাসান বলেন, রোববার রাতে বিদ্যুৎ গেছে। এখনো আসেনি। ঝড় শেষ হলে দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে বিদ্যুৎ লাইন সচল করার দাবি জানান তিনি।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক শরীফ আল মামুন বলেন, ঝোড়ো বাতাসে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না তাঁরা। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।

একই কথা জানিয়েছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক।