ঈশ্বরদীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্টকার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট বিতরণ

বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করছেন নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েসের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, ফ্রি চিকিৎসা সেবা, যাতায়াত সুবিধাসহ বিদ্যুৎ, পানি গ্যাস, বিল পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। যাদের জমি আছে, ঘর নেই তাদের ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। আবার যাদের জমি ঘর কিছুই নেই তাদের সরকারের খাসজমিতে বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শুধু জীবদ্দশায় নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পরও যেন যথাযোগ্য সম্মান পান এবং তাদের সমাধিটি যাতে যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান অতিথি নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, সুদীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাগণ যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। সে জন্যই আজ বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে।  

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান দাদু ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, নজরুল ইসলাম মিন্টু, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বকুল সরদার ও মুলাডুলির চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মালিথা প্রমুখ।

ইউএনও পি এম ইমরুল কায়েস জানান, আজ ৩৯২ জন জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এ সার্টিফিকেট ও কার্ড দেয়া হলো। ৭২ জন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের হাতে পর্যায়ক্রমে সনদ তুলে দেওয়া হবে।