ইয়াফেস ওসমান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু বিদ্যুতের নয়, এটি পুরো জাতিকে আলোকিত করার মত একটি বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) কাজ শুরুর একদিন আগে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে রাশিয়ান স্টেট নিউক্লিয়ার করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সান্ডার লেখসেভের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রকল্পের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ফুকুশিমার পর এখানে কোরক্যাচার টেকনোলজি যুক্ত করা হয়েছে। এটি না করলে অনেক খরচ কম হতো। আমরা অনেক খরচ করে কোরক্যাচার বসিয়েছি শুধু জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
কম খরচে বিদ্যুৎ পেতে হলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প নেই। একে বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে দেখার আহ্বান জানান ইয়াফেস ওসমান।
মঙ্গলবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় চুল্লি স্থাপন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের সাজ-সজ্জার কাজ চলছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক দেশি-বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ২০২১ সালের ১০ই অক্টোবর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন হয়। প্রথম ইউনিটের কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তার এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ ভৌত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আর্থিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উৎপাদন শুরু করা যাবে।