শপথ নেওয়া নবীন সৈনিকদের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠদের পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল–মামুন। বুধবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট রিক্রুট ব্যাচ-২০২২-এর ১ হাজার ১৯২ জন নবীন সৈনিক শপথ নিয়েছেন। বুধবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসের ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ১ হাজার ১৯২ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি কোর-এ সৈনিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেন। রিক্রুটদের মধ্যে সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ পারদর্শিতা প্রদর্শনের জন্য মাহফুজ মিয়াকে পুরস্কৃত করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ১১ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার ও বগুড়া এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল-মামুন।

মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল-মামুন নবীন সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে দেশের মানুষ। জনগণের নিকট তাঁদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে। তাই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজস্ব ভূমিকা পালনের পাশাপাশি আপামর জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো সেনাবাহিনীর অপরিহার্য কর্তব্য। প্রত্যেককে শারীরিক ও মানুষিকভাবে যুদ্ধ বিদ্যায় এমনভাবে পারদর্শী করে তুলতে হবে, যাতে সবাইকে নিয়ে বাংলার মাটি হয়ে ওঠে এক দুর্জয় ঘাঁটি।

মো. খালেদ আল-মামুন আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তা সৈনিক জীবনে প্রবেশের মৌলিক প্রশিক্ষণ মাত্র। সৈনিক জীবন শুধু একটি চাকরি নয়, এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আজকের দিনটি প্রত্যেকের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, আজ সবার ওপর অর্পিত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সবাই সদা সচেষ্ট থাকবে। নিজের জীবন উৎসর্গ করে হলেও তা যথাযথভাবে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে যাবে।

মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল-মামুন তাঁর বক্তব্যে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ করা বিভিন্ন কর্মকর্তা, সৈনিকদের স্মরণ করেন। বক্তব্যের আগে তিনি নবীন সৈনিকদের কুচকাওয়াজ ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং তাঁদের অভিনন্দন জানান।